চরভদ্রাসনে দ্বিতীয় স্ত্রীর মামলায় মাদ্রাসা শিক্ষক গ্রেপ্তার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন ফরিদপুরের চরভদ্রাসন সদর ইউনিয়নের আয়শা সিদ্দীকা (র.) মহিলা মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক হাসান প্রামাণিক (৩৫)। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মাদ্রাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে চরভদ্রাসন থানা-পুলিশ।

হাসান প্রামাণিক পাশের সদরপুর উপজেলার ডিগ্রির চর মধু মণ্ডলের ডাঙ্গী গ্রামের বাসিন্দা। হাসানের বিরুদ্ধে গত ৫ নভেম্বর চরভদ্রাসন থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমা বেগম (২০)। রহিমা নড়াইলের নড়াগাতী উপজেলার বাওসোনা গ্রামের আবদুর রহমান মুন্সীর মেয়ে।

মামলার ভাষ্য ও তদন্ত কর্মকর্তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রহিমাকে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিয়ে করেন হাসান। তাদের দেড় বছরের একটি ছেলে সন্তানও আছে। মাদ্রাসায় থাকাকালে হাসান অন্যান্য ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

চাকরির মিথ্যা প্রলোভন এবং মাদ্রাসার ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করা নিয়ে দ্বিতীয় স্ত্রী রহিমার সঙ্গে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয় হাসানের। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহিমাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে শুরু করেন হাসান। এ প্রেক্ষাপটে গত ৫ নভেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে যৌতুকের দাবিতে স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন রহিমা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চরভদ্রাসন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. শাহিনুর রহমান বলেন, মামলার পর থেকেই পলাতক ছিলেন হাসান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি মাদ্রাসায় এসেছেন জেনে গতকাল রাতে অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।