চালকের পায়ের নিচে ম্যাটের তলায় ছিল সোনার ৯৪টি বার

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

প্রাইভেটকারের চালকের পায়ের নিচে ম্যাটের তলা থেকে ৯৪টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়েছে। এগুলোর ওজন প্রায় ১১ কেজি। নতুনহাট এলাকায় যশোর-বেনাপোল সড়কে একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে ওই সোনাসহ তিনজনকে আটক করেছে যশোর ব্যাটালিয়ন (৪৯ বিজিবি)।

আজ সোমবার বিকেলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব তথ্য জানিয়েছে বিজিবি।

সোনা চোরাচালানের একটি মামলা দিয়ে অভিযুক্তদের যশোর কোতোয়ালি থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। মামলায় চারজনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনজন আটক আছেন।

আটক ব্যক্তিরা হলেন যশোরের শার্শা উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের মো. জাহিদুল ইসলাম (৩৮) ও আমলায় গ্রামের মো. ইয়াকুব আলী (২৮) এবং কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার নলচক গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেন (২৩)। এ ছাড়া গাড়ির মালিক শার্শা উপজেলার পুটখালী গ্রামের ইমান আলীকেও মামলার আসামি করা হয়েছে।

বিজিবির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে যশোরের দিক থেকে একটি প্রাইভেটকার বেনাপোল সীমান্তের দিকে যাচ্ছিল। যশোর-বেনাপোল সড়কের নতুনহাট এলাকায় গাড়িটির গতিরোধ করে তল্লাশি করা হয়। এ সময় গাড়ি থেকে ১০ কেজি ৯৩৫ গ্রাম ওজনের ৯৪টি সোনার বার উদ্ধার করা হয়। ওই গাড়িতে থাকা চালকসহ তিনজনকে আটক করা হয়। জব্দকৃত সোনার দাম আনুমানিক ৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে যশোর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল সেলিম রেজা বলেন, ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে ওই সোনা ঢাকার শ্যামলী এলাকা থেকে আনা হয়েছে। আটককৃত তিনজনসহ চারজনকে আসামি করে সোনা চোরাচালানের একটি মামলা করা হয়েছে।