চিকিৎসা করাতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার অভিযোগে মামলা

প্রতীকী ছবি

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে এক নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন অভিযোগে মামলা করেছেন। ঘটনাটি ২১ সেপ্টেম্বরের হলেও তিনি নানা ধরনের হুমকির কারণে মামলা করতে পারেননি। পরে ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি শ্রীপুর থানায় মামলা করেন। এই মামলায় নুরুল ইসলাম শেখ (৪৭) নামে একজনকে মঙ্গলবার আটক করেছে পুলিশ।
আটক নুরুল ইসলাম গাজীপুর মহানগরীর জানাকুর এলাকার আবদুর রহমান শেখের ছেলে। তিনি গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর এলাকার বাংলাদেশ-নরওয়ে ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক। তিনি নিজেকে নরওয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রিধারী বলে দাবি করেছেন। ধর্ষণের শিকার নারী (২১) গাজীপুর সদর উপজেলার একটি কারখানার শ্রমিক।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ইমাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘মামলা হয়েছে সোমবার। আমরা আসামিকে নিয়ে এসেছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছি। এ ঘটনায় তাঁর সংশ্লিষ্টতা কতটুকু তা জানার জন্য জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’

এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এখলাছ উদ্দিন। তাঁকে কল করলে তিনি বলেন, 'পাঁচ মিনিট পর কল ব্যাক করছি।’ তিনি নিজে থেকে যোগাযোগ করেননি। তাঁকে বারবার ফোন দিলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।
শ্রীপুর থানায় দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই নারী ২০ সেপ্টেম্বর জ্বর, সর্দি, কাশি ও শরীর ব্যথা নিয়ে চিকিৎসা করাতে বাংলাদেশ-নরওয়ে হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যান। তখন হাসপাতালে উপস্থিত চিকিৎসক তাঁকে প্রস্রাব ও রক্ত পরীক্ষা করতে বলেন। তিনি পরীক্ষার জন্য নমুনা দেন। চিকিৎসক পরের দিন প্রতিবেদন দেওয়া হবে বলে জানান। তিনি বাড়িতে চলে যান। পরের দিন ২১ সেপ্টেম্বর বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের মালিক নুরুল ইসলাম শেখ ওই নারীর কাছে এক ব্যক্তিকে পাঠান। ওই ব্যক্তি তাঁকে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যেতে বলেন। তিনি চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হন। পথে একটি গাড়িতে নুরুল ইসলাম শেখসহ কয়েকজনকে দেখেন তিনি। নুরুল ওই নারীকে বলেন, পরীক্ষার জন্য দেওয়া নমুনাগুলো নষ্ট হয়ে গেছে। নমুনা দেওয়ার জন্য তাদের সঙ্গে যেতে হবে। তিনি গাড়িতে উঠলে তাঁকে ধলাদিয়া এলাকার একটি বাগান বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করা হয়।