ছাত্রীদের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় অফিস সহকারীকে কোপাল দুর্বৃত্তরা

আহত সোহেল রানা। তাঁর মাথায় কোপ লেগেছে। ছবি: সংগৃহীত
আহত সোহেল রানা। তাঁর মাথায় কোপ লেগেছে। ছবি: সংগৃহীত

পাবনার সুজানগর উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের গোপালপুর আজগর আলী উচ্চবিদ্যালয়ে ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করায় বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী সোহেল রানাকে (২৮) কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বিদ্যালয়টিতে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান চলাকালে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আজ বুধবার সকালে সোহেল রানার বড় ভাই সুলতান প্রামাণিক বাদী হয়ে ১১ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বিকেল চারটার দিকে বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান চলছিল। এ সময় ১০ থেকে ১২ জন বহিরাগত যুবক সেখানে যান। তাঁরা অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী সোহেল রানা বিষয়টি দেখতে পেয়ে প্রথমে যুবকদের থামানোর চেষ্টা করেন। এতে তাঁরা খেপে ছাত্রীদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। একপর্যায়ে সোহেল রানা ওই যুবকদের অনুষ্ঠান এলাকা ছেড়ে যেতে বললে তাঁরা তাঁকে পিটিয়ে ও ছুরি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান। পরে গুরুতর জখম অবস্থায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা তাঁকে উদ্ধার করে সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

সুজানগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা সেলিম মোর্শেদ জানান, সোহেলের মাথায় একটি কোপ লেগেছে। শরীরের বিভিন্ন অংশ লাঠির আঘাতে থেঁতলে গেছে। তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামিল হোসেন বলেন, ‘যারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে, তারা এলাকার চিহ্নিত বখাটে। মাঝেমধ্যেই তাদের স্কুলের আশপাশে দেখা যায়। তবে স্কুলে ঢুকে তাদের উদ্ধত এ আচরণ মেনে নেওয়ার মতো নয়। ঘটনায় আহত অফিস সহকারীর ভাই মামলা করেছেন। আমরা অবিলম্বে দুর্বৃত্তদের গ্রেপ্তার দাবি করছি। অন্যদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা ও পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’

এ প্রসঙ্গে সুজানগর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুদ্দোজা প্রথম আলোকে বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকেই আসামিদের খুঁজতে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে তাঁরা গা ঢাকা দিয়ে আছেন।