ছেলেকে মারধরের কারণ জানতে গিয়ে প্রাণ গেল বাবার

ছেলেকে মারধরের কারণ জানতে গিয়ে প্রাণ গেল বাবার। আজ শুক্রবার সকাল আটটার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত বাবা তৌহিদ মোল্লা (৪০) একজন কৃষক। তিনি খালিয়া গ্রামের মৃত হাসেম মোল্লার ছেলে। তৌহিদ মোল্লার ছেলে কাদের মোল্লা (১৫) খালিয়া ইউনাইটেড একাডেমির নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে তৌহিদ মোল্লার ছেলে কাদের মোল্লা বাইসাইকেল চালিয়ে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল। এ সময় তার সহপাঠী ভীম শেখ ও রিপন শেখ তাকে মারধর করে। এ ঘটনা তৌহিদ মোল্লা শুনতে গেলে ওই দুই ছাত্রের স্বজনদের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন। এ সময় ওই দুই ছাত্রের স্বজনেরা তৌহিদ মোল্লাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে এলাকাবাসী তৌহিদ মোল্লাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
জালালাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাফুল আলম জানান, খালিয়া গ্রামে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হেমায়েত মোল্লার সঙ্গে সাবেক আরেক ইউপি চেয়ারম্যান মৃত মোসলেম মোল্লার ভাই ঠান্ডু মোল্লার বিরোধ চলে আসছিল। নিহত তৌহিদ ঠান্ডু মোল্লার সমর্থক। যারা তাকে মেরেছে তারা হেমায়েতের অনুসারী। তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এলাকায় ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে দুদল কিশোরের মধ্যে বচসা হয়। এর জের ধরে তৌহিদের ছেলে কাদেরকে মারধর করা হয়।
এ ঘটনার জের ধরে ওই গ্রামে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচ গ্রামবাসী আহত হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই গ্রামে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম রেজা বলেন, লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরে আবার যেন সংঘর্ষ না হয়, এ জন্য এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে হত্যা মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।