জাল সনদে ৯ বছর চাকরি

অপরাধ
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ার কুমারখালী সরকারি কলেজে প্রভাষক পদে ৯ বছর ধরে চাকরি করছেন সাবিরা খাতুন। কিন্তু ওই শিক্ষকের শিক্ষক নিবন্ধন সনদটি জাল। সম্প্রতি বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) সনদ যাচাই করে করে এর সত্যতা পেয়েছে। এনটিআরসি কর্তৃপক্ষ সাবিরার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে। সাবিরা খাতুন কুমারখালী সরকারি কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক।

এ ব্যাপারে জানতে সাবিরা খাতুনের মুঠোফোনে গতকাল একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়। একাধিক সূত্র জানায়, কুমারখালী ডিগ্রি কলেজ সরকারি ঘোষণায় ২০০৮ সালে জাতীয়করণ করা হয়। শিক্ষকদের সনদ যাচাইয়ে সাবিরা খাতুনের নিবন্ধন সনদ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন এনটিআরসির সহকারী পরিচালক তাজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত সনদ যাচাই–সংক্রান্ত চিঠি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া কলেজের অধ্যক্ষকে এ–সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। ভুয়া সনদে চাকরির অপরাধে ওই প্রভাষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়েরসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে এনটিআরসিএ কর্তৃপক্ষকে অবগত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এনটিআরসিএর চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত চতুর্থ ব্যাচের নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ উল্লেখ থাকা সাবিরা খাতুনের নিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের সময় ভুয়া প্রমাণিত হয়। নিবন্ধন পরীক্ষায় সাবিরা খাতুন অনুত্তীর্ণ হয়েছিলেন বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।

সাবিরা খাতুন ২০১১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রভাষক পদে কলেজে নিয়োগ পান। অধ্যক্ষ শরিফ হোসেন বলেন, নিবন্ধন সনদ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ার বিষয়টি এনটিআরসিএর ওয়েবসাইট দেখেছি। তবে এ–সংক্রান্ত কোনো চিঠি হাতে পাইনি। চিঠি পাওয়ার পর নির্দেশমতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।