জুয়া খেলার প্রতিবাদ করায় স্কুলছাত্রকে হত্যা

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলায় জুয়া খেলা ও আম পাড়ার প্রতিবাদ করায় আইয়ুব আলী (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে উপজেলার ইজারকান্দিতে এ ঘটনা ঘটে।

আইয়ুব আলী ইজারকান্দি এলাকার জালালউদ্দিনের ছেলে। সে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র এবং ইজারকান্দি আলোর সেতু পাঠাগারের দেখাশোনার দায়িত্বে ছিলেন।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ সকালে উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন গ্রুপের শাহজাহানসহ পাঁচ–ছয়জন মিলে ইজারকান্দি এলাকায় আলোর সেতু পাঠাগারের সামনে জুয়ার আসর বসায়। এতে আইয়ুব আলী জুয়া খেলায় বাধা দেয়। ওই সময় জুয়াড়িদের সঙ্গে আইয়ুব আলীর বাগবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করলে স্থানীয় মাতবরেরা ঘটনাটি মীমাংসা করার চেষ্টা করেন। বিকেলে কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন তাঁর লোকজন নিয়ে আবদুল হকের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আইয়ুব আলী নিহত হন।

আইযুব আলীর খালাতো ভাই আরিফ হোসেন অভিযোগ করে বলেন, সাদ্দাম হোসেন বন্ধুক দিয়ে আইয়ুবের মাথায় গুলি করলে সে ঘটনাস্থলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম বলেন, বিকেলে স্থানীয় জালাল ও আবদুল হক মেম্বারের লোকজন যাতে মারামারি না করেন, সে জন্য তিনি ঘটনাস্থলে যান। ওই সময় আবদুল হক মেম্বারের লোকজন মারামারি শুরু করেন। তাঁদের গুলিতে স্কুলছাত্র আইয়ুব মারা যায়। এ সময় আবদুল হক মেম্বারের লোকজন তাঁর ও তাঁর পক্ষের লোকজনের অন্তত ১০টি বাড়ি ভাঙচুর করেন।

এ ব্যাপারে আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, আইয়ুব আলী আলোর সেতু পাঠাগার ও ওই খানে আমগাছে পাহারা দিত। ওই পাঠাগারের সামনে জুয়া খেলায় বাধা ও আম পাড়তে বাধা দেওয়া নিয়ে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবারে অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম হোসেনের গুলিতে আইয়ুব আলীর মৃত্যু হয়েছে। খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

উল্লেখ্য, এর আগেও বিভিন্ন সময় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলার কালাপাহাড়িয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও ইজারকান্দি গ্রামের আবদুল হকের গ্রুপের মধ্যে বিরোধ থেকে কয়েকবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।