জয়পুরহাটে মারধর করে গৃহবধূর চুল কেটে দিলেন স্বজনেরা

জয়পুরহাটে আবারও এক গৃহবধূকে মারধর করে তাঁর মাথার চুল কেটে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে পাঁচবিবি উপজেলার বীরনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে পাঁচবিবি থানায় মামলা করেছেন। পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন সোহেল রানা (১৮) ও আরিফ হোসেন (১৯)। তাঁরা ওই গৃহবধূর স্বজন।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূর স্বামীর সঙ্গে প্রতিবেশীদের জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। গৃহবধূর ভাশুর ও তাঁর ছেলেরা প্রতিবেশীদের পক্ষ নেন। ১৭ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটার দিকে আসামিরা গৃহবধূর বাড়িতে ঢুকে তাঁকে মারধর করেন। একপর্যায়ে গৃহবধূ অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তাঁর মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়। এ সময় গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। তিনি বাড়ি এসে এমন নির্যাতনের প্রতিবাদ করলে তাঁকেও মারধর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওই রাতেই গৃহবধূকে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পাঁচ দিন পর বৃহস্পতিবার গৃহবধূ থানায় গিয়ে মামলা করেন।

ওই গৃহবধূর ভাষ্য, ‘আমার স্বামীর সঙ্গে প্রতিবেশীদের জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে। এর জের ধরে তাঁরা বাড়িতে এসে মারপিট করে আমার মাথার চুল কেটে দিয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় মামলা করতে দেরি হয়েছে।’ যারা এমন নির্যাতন করে মাথার চুল কেটে দিয়েছেন, তিনি তাঁদের বিচার দাবি করেন।

গৃহবধূর স্বামী বলেন, ‘আমি বাড়িতে ছিলাম না। এই সুযোগে প্রতিবেশী ও আমার স্বজনেরা বাড়িতে এসে আমার স্ত্রীকে পিটিয়ে মাথার চুল কেটে দিয়েছেন। আমি বাড়ি এসে প্রতিবাদ করায় তাঁরা আমাকেও পিটিয়ে বাড়ি থেকে বের দিয়েছেন। এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।’

গ্রেপ্তার সোহেলের মা ছামেনা বেগম দাবি করেন, তাঁর ছেলে নির্দোষ। গ্রামের লোকজন মারধর করে চুল কেটে দেওয়ার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।

পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনসুন রহমান ঘটনার খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে আক্কেলপুরে যৌতুকের দাবিতে এক গৃহবধূকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।