ঝিনাইদহে তরুণীর রহস্যজনক মৃত্যু: ৮ জনের নামে মামলা, গ্রেপ্তার ৪

মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে বান্ধবীর বিয়েতে তোলা উলফাত আরা তিন্নির সেলফি
সংগৃহীত

ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সদ্য পাস করা উলফাত আরা তিন্নির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় নারী নির্যাতন আইনে মামলা হয়েছে। নিহত তিন্নির মা হালিমা বেগম বাদী হয়ে আটজনের ৮ জনের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার রাতে শৈলকুপা থানায় মামলাটি করেন। এই মামলায় চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
যে চারজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে তাঁরা হলেন তিন্নির সাবেক ভগ্নিপতি জামিরুল ইসলামের বড় ভাই আমিরুল ইসলাম, আরেক ভাই নজরুল ইসলাম, মামা শেখ খলিলুর রহমানের দুই সন্তান শেখ লাবিদ ও শেখ তন্ময়। ঘটনার রাতেই তাদের আটক করা হয়েছিল।
এদিকে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তিন্নির সহপাঠী ও এলাকাবাসী বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেন। তাঁরা এই ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তিন্নির সাবেক ভগ্নিপতি জামিরুল ইসলামের দ্রুত গ্রেপ্তার ও বিচার দাবি করেন।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে শৈলকুপার শেখপাড়া বাজারের বাসিন্দা মুক্তিযোদ্ধা ইউসুফ আলীর মেয়ে তিন্নির লাশ পাওয়া যায় তাঁর ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায়। তিন্নির পরিবারের দাবি, তাঁকে পাশবিক নির্যাতন করে হত্যার পর ফ্যানে ঝুলিয়ে রাখে তাঁর মেজো বোনের সাবেক স্বামী ও তাঁর লোকজন। আর পুলিশ বলছে, মেয়েটি লজ্জায় আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছেন তাঁরা। তবে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর নিশ্চিত করে বলা যাবে আসলে কী ঘটেছিল।
শনিবার তিন্নিদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, লোকজনের ভিড়। এরই মধ্যে মাঝে মাঝে মা হালিমা বেগম কান্না করে উঠছেন। অন্যরা সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। গোটা বাড়িটি এখনো এলোমেলো অবস্থায় আছে। ঘটনার সময় হামলাকারীরা যেভাবে জানালার গ্লাস ভেঙে রেখেছিলেন, সেভাবেই আছে।