ঝুঁকিতে রাডার স্টেশন

পাহাড় কাটার কারণে কক্সবাজার শহরের হিলটপ সার্কিট হাউস পাহাড়ে অবস্থিত রাডার স্টেশন ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
গত ২৭ জুলাই রাডার স্টেশনের পশ্চিম পাশে পাহাড়ধসে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। বিলীন হয়েছে সাতটি ঘরবাড়ি। ভারী বর্ষণে রাডার স্টেশনটিও ধসে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
রাডার স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাশেম প্রথম আলোকে জানান, রাডার স্টেশনটি প্রথম শ্রেণির (খ) কেপিআইভুক্ত একটি স্থাপনা। কেপিআই নীতিমালা অনুযায়ী স্থাপনার সীমানাদেয়ালের ১০ মিটারের মধ্যে কোনো অবকাঠামো নির্মাণ নিষিদ্ধ। কিন্তু পূর্ব ও পশ্চিম দিকে পাহাড় কেটে ১০ মিটারের মধ্যে তৈরি করা হয়েছে শতাধিক ঘরবাড়ি। এতে রাডার স্টেশনটি ঝুঁকির মুখে আছে। নানা চেষ্টা করেও অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা যাচ্ছে না।
রাডার স্টেশন সূত্র জানায়, ২০০৭ সালে জাপানের কারিগরি সহায়তায় প্রায় ১২০ কোটি টাকা ব্যয়ে পাহাড়চূড়ায় অত্যাধুনিক এই ডপলার রাডার স্টেশনটি স্থাপন করা হয়। সময়মতো ও নিখুঁত আবহাওয়ার পূর্বাভাস পেতে এই রাডার স্থাপন করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে রাডার স্টেশন ঘুরে দেখা গেছে, ২৭ জুলাই রাতে পাহাড়ের ধসে পড়া অংশ পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। পাহাড়ের নিচে দেখা যায় শতাধিক অবৈধ ঘরবাড়ি। পাহাড় কেটে বেশির ভাগ ঘরবাড়ি তৈরি করা হয়েছে।
রাডার স্টেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, কোনো কিছুতেই পাহাড় কেটে ঘরবাড়ি নির্মাণ বন্ধ করা যাচ্ছে না। বৃষ্টি হলে পাহাড়-খণ্ড ধসে পড়ে। প্রবল বর্ষণে আবারও পাহাড় ধসে প্রাণহানি ঘটতে পারে।
রাডার স্টেশন সূত্র জানায়, ২০০৯ সালে পাহাড়ধস থেকে রাডার রক্ষার জন্য পাহাড়ের পশ্চিম অংশে তিন স্তরের সীমানাদেয়াল নির্মাণ করা হয়। কিন্তু ভারী বর্ষণ আর ভূমিধসের কারণে সীমানাদেয়াল নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। ২৭ জুলাই পাহাড়ধসের পর জাইকা, আবহাওয়া অধিদপ্তর ও গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীরা রাডার স্টেশন পরিদর্শন করেন।
রাডার স্টেশনের কর্মকর্তা আবুল হাশেম জানান, বৃষ্টিতে ভিজে যেন আর ফাটল না ধরে, সে জন্য পাহাড়ের ধসে পড়া অংশ পলিথিন দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগের কক্সবাজারের নির্বাহী প্রকৌশলী তসলিম উদ্দিন জোয়াদ্দার জানান, রাডার স্টেশনটি রক্ষার উপায় খোঁজা হচ্ছে।