টেকনাফে 'বন্দুকযুদ্ধে' ২ রোহিঙ্গা নিহত
কক্সবাজারের টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। র্যাবের দাবি, নিহত দুই ব্যক্তি মাদক ব্যবসায়ী।
নিহত দুজন হলেন উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা মোহাম্মদ আবুল হাশিম (৩০) ও একই শিবিরের মো. আইয়ুব (২৪)।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে টেকনাফ-কক্সবাজার মেরিন ড্রাইভ সড়কে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। র্যাব-১৫ সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহ আলম প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
র্যাবের ভাষ্য, এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ১০ হাজার ইয়াবা বড়ি, দুটি ওয়ান শুটারগান, ৫টি তাজা কার্তুজ ও ৬টি খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ইয়াবা কারবারিদের গুলিতে র্যাবের তিনজন সদস্য আহত হয়েছেন।
সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহ আলম বলেন, কিছু ইয়াবা ব্যবসায়ী ইয়াবা নিয়ে বাহারছড়া ইউনিয়নের শাপলাপুর এলাকা দিয়ে যাবেন, এ তথ্য পেয়ে টহল দল ওই এলাকায় যায়। সেখানে ১০ থেকে ১২ জনের একটি দল র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এ সময় র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট গুলিবিনিময় হয়। একপর্যায়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ দুজনকে উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া ১০ হাজার ইয়াবা, দুটি ওয়ান শুটারগান, ৫টি তাজা কার্তুজ, ৬টি খালি খোসাও উদ্ধার করা হয়। সংঘর্ষের ঘটনার পর র্যাবের তিন সদস্যকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক সাধারণ পোশাকধারী দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক শুভ্র দে বলেন, আজ ভোরে পাঁচজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে সাধারণ পোশাকে থাকা দুজন হাসপাতালে আনার আগে মারা যান। আর র্যাবের আহত তিনজনকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নিহত দুজনের শরীরে তিনটি করে গুলির চিহ্ন রয়েছে। পরে পুলিশ লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে।
২০১৮ সালের ৪ মে থেকে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হলে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও মাদক ব্যবসায়ীদের প্রভাব বিস্তার এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে আজ বুধবার পর্যন্ত কক্সবাজার জেলায় ৪ নারীসহ ২০৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২ নারীসহ ৫৯ জন রোহিঙ্গা নাগরিকও রয়েছেন।