ডলারের লোভ দেখিয়ে পৌনে ৭ লাখ টাকা নিয়ে চম্পট

গ্রেপ্তার হওয়া প্রতারকেরা
ছবি: সংগৃহীত

বিদেশি পরিচয়ে ফেসবুকে বন্ধু সেজে উপহার হিসেবে ‘বিপুল পরিমাণ’ ইউএস ডলার পাঠানোর কথা বলে একজনের কাছ থেকে প্রায় পৌনে সাত লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি প্রতারক চক্র।

ওই চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বলছে, তাঁরা ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপসহ নানা মাধ্যমে প্রতারণা করে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে মোট ৮৮ লাখ ৭৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সাইফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (৩২), ওমর ফারুক ওরফে রনি (৪০), আনিছুর রহমান (২৬) ও শহিদুল ইসলাম ওরফে সোহেল (৩৬)।

মঙ্গলবার ঢাকার মানিকদী ও নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে সিআইডির অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক শেখ ওমর ফারুক জানান।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর মালিবাগে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওমর ফারুক বলেন, আতিকুর রহমান (৪১) নামে একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে এই চক্রের সন্ধান পান তাঁরা। চক্রের সদস্যরা নিজেদের বিদেশি পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে আতিকুরের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলেন। তাঁরা বন্ধুত্বের উপহার হিসেবে পার্সেলে ইউএস ডলার পাঠানোর প্রস্তাব দেন।

একপর্যায়ে আতিকুর সম্মতি দিলে তাঁরা উপহারটি তাঁর নামে বিমানবন্দরে পাঠানোর কথা বলেন। চক্রের সদস্যরা আতিকুরকে পার্সেল গ্রহণ করতে বলেন। তাঁদের একজন সহযোগী নিজেকে শুল্ক কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে আতিকুরকে ফোনে পার্সেল আসার কথা এবং সেটি স্ক্যান করে বিপুল পরিমাণ ইউএস ডলার আছে বলে জানান। কথিত শুল্ক কর্মকর্তা তাঁর দেওয়া ব্যাংক হিসাবে ৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা জমা দেওয়ার জন্য চাপ দেন। টাকা জমা না দিলে আইনি জটিলতার ভয় দেখানো হয়। এভাবে আতিকুরের কাছ থেকে ৬ লাখ ৭৩ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তাঁরা।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারকেরা টাকা হাতিয়ে নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন জানিয়ে সিআইডি কর্মকর্তা ওমর ফারুক বলেন, তাঁরা আতিকুর রহমান ছাড়াও বেশ কয়েকজন ভুক্তভোগীর কাছ থেকে যৌথ ব্যবসার মূলধন সংগ্রহ এবং বিদেশে চাকরি দেওয়ার কথা বলে প্রায় ৮২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে মতিঝিল ও লালবাগ থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের হওয়া দুটি মামলার অধিকতর তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানান ওমর ফারুক।