জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় ডিআইজি মিজানুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। ২৭ অক্টোবর মামলার সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ঠিক করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬–এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ আদেশ দেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী হেলাল উদ্দিন প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলার বাকি আসামিরা হলেন ডিআইজি মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া আনার, তাঁর ছোট ভাই মাহবুবুর রহমান এবং ভাগনে মাহমুদুল হাসান। তাঁদের মধ্যে মিজানের স্ত্রী সোহেলিয়া ও ভাই মাহবুবুর পলাতক। আর কারাগার থেকে মিজান ও তাঁর ভাগনে মাহমুদুলকে আদালতে হাজির করা হয়। অভিযোগ গঠনের সময় ডিআইজি মিজান ও তাঁর ভাগনে মাহমুদুল নিজেদের নিরপরাধ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে গত বছরের ২৪ জুন ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের পরিচালক মঞ্জুর মোর্শেদ।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৬৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩ কোটি ৭ লাখ ৫ হাজার টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়। মামলাটি তদন্ত করে গত ৩০ জানুয়ারি ডিআইজি মিজানসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগে ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলার বিচার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এ চলমান।
মামলার আরেক আসামি হলেন দুদকের বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। ওই মামলার বাদী দুদক পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা আদালতে বলেছিলেন, আসামি খন্দকার এনামুল বাছির দুদকের কর্মকর্তা হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ডিআইজি মিজানুর রহমানকে অবৈধ সুবিধা দেওয়ার জন্য ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন।
ডিআইজি মিজানুর রহমান সরকারি কর্মকর্তা হয়ে তাঁর বিরুদ্ধে আনা অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই পেতে দুদকের পরিচালক এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দেন। ডিআইজি মিজানের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগের বিষয়টি দুদক অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেয়। অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় এনামুল বাছিরকে। অনুসন্ধান চলাকালে ২০১৯ সালের ৯ জুন বিভিন্ন গণমাধ্যমে খন্দকার এনামুল বাছিরকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ দিয়েছেন ডিআইজি মিজানুর রহমান—এমন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। আসামি ডিআইজি মিজানুর রহমান গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়ে ঘুষ দেওয়ার বিষয়টি জাতির সামনে স্বীকার করে নেন।