ডিসি, এসপি সেজে টাকা হাতিয়ে নিতেন তিনি

প্রতারণার অভিযোগে গ্রেপ্তার মোকলেছ আলী (মাঝে)। গত শুক্রবার কুষ্টিয়া ডিবি কার্যালয়ে
ছবি: সংগৃহীত

তিনি কখনো জেলা প্রশাসক (ডিসি), আবার কখনো পুলিশ সুপার (এসপি) সাজতেন। স্ত্রীকে সাজাতেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে বিভিন্নজনের কাছে থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন—এমন অভিযোগে মোকলেছ আলী (৩৩) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।


পুলিশ জানিয়েছে, মোকলেছ আলী কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার লক্ষ্মীধরদিয়াড় গ্রামের মৃত মোসলেম আলীর ছেলে। গত শুক্রবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে ডিবি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হওয়ার পর গতকাল শনিবার তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

ডিবি সূত্রে জানা যায়, মোকলেছ দীর্ঘদিন ধরে মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করছিলেন। তাঁর সহযোগীদের নিয়ে তিনি কখনো জেলা প্রশাসক বা পুলিশ সুপার সাজতেন। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে প্রতারণার মাধ্যমে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ভেড়ামারার এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার কথা বলে পাঁচ লাখ টাকাসহ বিভিন্ন সময় প্রায় ২২ লাখ টাকা আদায় করেন। এ ছাড়া সাবেক সংস্থাপনসচিব ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মুক্তিযোদ্ধা রশিদুল আলমের কথিত এপিএস হিসেবেও পরিচয় দিতেন।

পুলিশ আরও জানায়, মোকলেছের বিরুদ্ধে এপিএস পরিচয় দিয়ে মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ফারুকুজ্জামানের কাছে থেকে ঠিকাদারির লাইসেন্স দেওয়ার কথা বলে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা নেওয়ার অভিযোগ আছে। ভেড়ামারার এক ব্যক্তির কাছে থেকে ছয় লাখ টাকা নেওয়াসহ বিভিন্ন ব্যক্তিকে খাসজমি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত বলেন, মোকলেছ বড় ধরনের প্রতারক। তাঁর বিরুদ্ধে ভেড়ামারা থানায় প্রতারণা করার অভিযোগে ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে।