ঢাকায় গরু-ছাগল চুরি চক্রের চার সদস্য হাতেনাতে ধরা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজধানীর তুরাগ এলাকায় একটি গরু চুরির ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ রোববার তাঁদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে হাজির করা হয়। পরে আদালত তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

চার আসামি হলেন ভোলার লালমোহন থানার মহেশখালী গ্রামের জামাল হোসেন (৩৫), ভোলার লালমোহনের রোদেরহাট গ্রামের আরিফ হোসেন (২৫), জামালপুরের নার্গিস খাতুন (২৯) ও খুলনার পারভীন খাতুন (৩৫)। চারজনই এখন ঢাকা ও গাজীপুর এলাকায় বসবাস করেন।

গরু চুরির ব্যাপারে তুরাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল মোত্তাকিন প্রথম আলোকে বলেন, তুরাগ এলাকায় একটা গরু চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে। সেই মামলায় গ্রেপ্তার চারজনকে আজ রোববার ঢাকার আদালতে পাঠানো হয়।

তুরাগ থানা ও ঢাকার আদালত সূত্র বলছে, গতকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে তুরাগের ষোলহাটি এলাকায় পাকা রাস্তার ওপর থেকে এক বছর বয়সী ষাঁড় গরুটি চুরি করে নিয়ে যাচ্ছিল চোরেরা। খবর পেয়ে ওই গরুর মালিক আবুল হোসেন তখন চিৎকার দেন। তখন টহলরত পুলিশ ও স্থানীয় জনগণ হাতেনাতে চার গরু চোরকে গ্রেপ্তার করে। জব্দ করা হয় তাদের সিএনজিও। এ ঘটনায় গরু মালিক আবদুল হোসেন বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম তুরাগ থানায় মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তুরাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া চার আসামিকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করার পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, এর আগেও তাঁরা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গরু-ছাগল চুরি করেছে। এই চক্রের সদস্যরা সিএনজিতে করে ঘোরে। সুযোগ বুঝে বাচ্চা-গরুর পা বেঁধে সিএনজিতে করে নিয়ে পালিয়ে যায়।
পুলিশ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, গতকাল বাচ্চা গরুটির চার-পা বেঁধে সিএনজির পেছনে তোলা হয়। এরপর পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের চিৎকারে ধাওয়া করে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গরুর মালিক আবুল হোসেন বলেন, তাঁর গরু চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি চান তিনি।