তরুণীকে ধর্ষণ ও বাবাকে মারধর: ৬ আসামির রিমান্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় তরুণীকে (২৭) ধর্ষণ এবং পরে আবার খুঁজতে এসে না পেয়ে তরুণীর বাবাকে (৬৫) মারধরের মামলায় গ্রেপ্তার ছয় আসামির রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মামলার প্রধান আসামি শামীম আহমদের (৩০) সাত দিনের এবং অন্য পাঁচ আসামির একদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। রোববার সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুভদীপ পাল এ আদেশ দেন।

আদালতের কোর্ট পরিদর্শক সেলিম নেওয়াজ বলেন, শামীম আহমদকে ১০ দিন এবং অন্য পাঁচ আসামিকে সাত দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়েছিল। এর মধ্যে আদালত শামীমকে সাত দিন এবং অন্যদের এক দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ৫ অক্টোবর রাতে জগন্নাথপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে একবার আটকে রেখে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন শামীম আহমদ। এরপর ওই রাতে দলবল নিয়ে তরুণীকে খুঁজতে যান শামীম। এ সময় তরুণীকে না পেয়ে তাঁর বৃদ্ধ বাবাকে রড দিয়ে পেটানো হয়। তরুণীর বাবা তাঁর ওপর ঘটে যাওয়া নির্যাতনের বর্ণনা দিচ্ছেন—এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পরই শামীমকে ধরতে পুলিশ তৎপর হয়। পরের দিন সকাল ১০টার দিকে মেয়েটিকে উদ্ধার করে পুলিশ থানায় নিয়ে যায় এবং ঘটনায় জড়িত অভিযোগে চারজনকে আটক করে। তরুণী বাদী হয়ে জগন্নাথপুর থানায় পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

সর্বশেষ ৯ অক্টোবর বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলা থেকে মামলার প্রধান আসামি শামীম আহমদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এই মামলায় গ্রেপ্তার অন্য পাঁচ আসামি হলেন জগন্নাথপুর উপজেলার লিটন মিয়া (৩০), ইলাক মিয়া (২৫), আকাই হোসেন (২৭), আলম খান (২৮) ও নওগাঁও গ্রামের কাজল মিয়া (৪৫)।

পুলিশ, এলাকাবাসী ও এজাহার সূত্রে জানা গেছে, সাত বছর আগে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় ওই তরুণীর বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর দাম্পত্য বিরোধ দেখা দিলে একমাত্র ছেলেকে (৫) নিয়ে তিনি সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বাবার বাড়িতে চলে যান। এর পর থেকে বখাটে শামীম ওই তরুণীকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। এক মাস আগে জোর করে তরুণীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যান শামীম। কিছুদিন আটকে রেখে তাঁকে ধর্ষণ করেন। শামীমের হাত থেকে বাঁচতে মেয়েটি নবীগঞ্জ উপজেলার একটি বাড়িতে গৃহপরিচারিকার কাজ নিয়ে বাবার বাড়ি থেকে চলে যান। ৫ অক্টোবর রাত ১২টার দিকে বখাটে শামীম তাঁর লোকজনকে নিয়ে তাঁর বাবার বাড়িতে যান এবং তাঁকে না পেয়ে বৃদ্ধ বাবাকে রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন।