তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবলীগ নেতাসহ ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নোয়াখালীর চাটখিলে চাকরি দেওয়ার কথা বলে তরুণীকে (২৩) ধর্ষণ ও এ ঘটনার ভিডিও ধারণের অভিযোগে যুবলীগ নেতাসহ দুজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার রাতে ওই তরুণী বাদী হয়ে চাটখিল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। তবে আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এর আগে গতকাল সকালে উপজেলার পাল্লা বাজারের একটি বিমা কোম্পানির কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই যুবলীগ নেতার নাম ফুয়াদ আল মতিন। তিনি পাঁচগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ওই বিমা কোম্পানির স্থানীয় এজেন্ট। মামলার আরেক আসামিকে অজ্ঞাতনামা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে ওই তরুণীকে বিমা কোম্পানির কার্যালয়ে ডেকে নেন ফুয়াদ আল মতিন। এরপর ফুয়াদ ও তাঁর সহযোগী ওই তরুণীকে নাস্তা ও কোমল পানীয় খেতে দেন। কোমল পানীয় পান করার পর ওই নারীর পুরো শরীর ঝিমঝিম করতে থাকে এবং তিনি অনেকটাই শক্তিহারা হয়ে যান।
এরপর ফুয়াদ ও তাঁর সঙ্গে থাকা সহযোগী ওই তরুণীকে মারধর করেন এবং জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলেন। একপর্যায়ে ফুয়াদ ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ফুয়াদের সহযোগী মুঠোফোনে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন। পরে স্থানীয় এক সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালকের সহায়তায় ওই নারী নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।
চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে ওই তরুণী নিজেই বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ফুয়াদ ও অজ্ঞাতনামা একজনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান চলমান। ওই তরুণী বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ঘটনার পর থেকে ফুয়াদ আল মতিন গা ঢাকা দিয়েছেন। তাই অভিযোগের বিষয়ে তাঁর কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ফুয়াদ আল মতিন পাঁচগাঁও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে নিশ্চিত করেন চাটখিল উপজেলা যুবলীগের একাংশের আহ্বায়ক ও চাটখিল পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ উল্লাহ পাটোয়ারী। তবে তিনি দাবি করেন, দেড় বছর আগে ওই কমিটি বিলুপ্ত হয়েছে। তিনি বলেন, ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। তিনি বর্তমানে ঢাকায়। সাংবাদিকদের মাধ্যমেই তিনি এ বিষয়ে জানতে পেরেছেন।