তাপস হত্যাকাণ্ডের পর ছোরা হাতে ছবি ভাইরাল হওয়া সাইমুন গ্রেপ্তার

সাইমুন
সাইমুন

পটুয়াখালীর বাউফলে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত যুবলীগের কর্মী তাপস কুমার দাস (৩৪) হত্যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ আসামি সাইমুনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে ডিবি পুলিশের একটি দল গতকাল রোববার ভোর চারটার দিকে ঢাকার বাবুবাজার এলাকার একটি কর্মজীবী হোস্টেল থেকে সাইমুনকে গ্রেপ্তার করে। সাইমুনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী বাউফল পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপাড়া এলাকার একটি ডোবা থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরাটি উদ্ধার করা হয়।

সাইমুন এই হত্যা মামলার আলোচিত আসামি। হত্যাকাণ্ডের পর ছোরা হাতে তাঁর ছবি ভাইরাল হলে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। সাইমুনের বাড়ি বাউফল পৌর শহরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়াদুদ মিয়া সড়কের পশ্চিম পাশে শান্ত গ্রামে। তাঁর বাবার নাম ঝন্টু প্যাদা।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, আসামি সাইমুন মামলার অন্যতম আসামি। হত্যাকাণ্ডের পর ভিডিও ও ছবি দেখে পুলিশ সুপারের নির্দেশে তিনি সাইমুনকে গ্রেপ্তারে অভিযানে নামেন। কয়েক দিন ধরে তাঁর সঠিক আস্তানা খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে নিশ্চিত হয়ে রোববার ভোর চারটার দিকে ঢাকার বাবুবাজার এলাকার একটি ছয়তলা কর্মজীবী হোস্টেলের তৃতীয় তলার একটি কক্ষ থেকে সাইমুনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে নিবিড়ভাবে কাজ করা হচ্ছে।

ঈদের আগের দিন বাউফল পৌরসভার উদ্যোগে থানার পূর্ব পাশে জেলা পরিষদ ডাকবাংলোর সামনের সড়কের খালি জায়গায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বাস্থ্যবিধি নির্দেশনাসংবলিত ব্যানার স্থাপন করা নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মারামারির ঘটনায় যুবলীগের কর্মী তাপস কুমার খুন হন। তাপসের বাড়ি কালাইয়া ইউনিয়নের কালাইয়া গ্রামে। তাঁর বাবার নাম বদু দাস।

এ ঘটনায় গত ২৫ মে রাতে বাউফল পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াউল হককে হুকুমের আসামি করে ৩৫ জনের নামে মামলা করেন তাপসের বড় ভাই পঙ্কজ চন্দ্র দাস। মামলায় ২০ নম্বর আসামি করা হয় প্রথম আলোর বাউফল প্রতিনিধি মিজানুর রহমানকে।

বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোস্তাফিজুর রহমান জানান, এই মামলায় সাইমুনসহ চারজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।