তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু

রাজধানীর খিলগাঁও, কামরাঙ্গীরচর ও লালবাগ এলাকায় তিনজনের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা হলেন মমতাজ বেগম (২৫), জ্যোৎস্না বেগম (৪০) ও শেখ রবীন (২১)। এঁদের মধ্যে মমতাজ বেগম খিলগাঁওয়ে, জ্যোৎস্না বেগম কামরাঙ্গীরচরে ও রবীনের লাশ লালবাগ এলাকা থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্তের জন্য গতকাল মঙ্গলবার লাশ তিনটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে আনা হয়।
খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মজিবর রহমান বলেন, পশ্চিম মেরাদিয়ার নবীনবাগের টিনশেডের বাড়ির একটি কক্ষ ১০ দিন আগে ভাড়া নেন মমতাজ বেগম। তাঁর স্বামী শফিকুল ইসলাম কোনো খোঁজ নিতেন না। সোমবার রাতে পাশে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায় মমতাজের ছয় বছর বয়সী ছেলে হৃদয়। গতকাল সকালে তাঁর ঘরের দরজা বন্ধ পাওয়া যায়। প্রতিবেশীরা খবর দিলে পুলিশ দরজা ভেঙে মমতাজের লাশ উদ্ধার করে। ঘরে আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি পাওয়া যায়।
কামরাঙ্গীরচরের দেওলাহাটি চৌরাস্তার একটি বাড়ির দোতলা ফ্ল্যাট থেকে গতকাল সন্ধ্যায় জ্যোৎস্না বেগমের লাশ উদ্ধার করা হয়। জ্যোৎস্নার স্বামী কবির হোসেন ইতালিপ্রবাসী। তাঁর বড় ছেলে শুভ বলেন, সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে বিছানায় ঘুমন্ত অবস্থায় তাঁর মাকে দেখেন। বেশ কিছু সময় তাঁকে ডাকাডাকি করেও ঘুম না ভাঙলে আত্মীয়স্বজন তাঁকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে রাত সাড়ে আটটার দিকে চকবাজারের ১২/বি নম্বরের ১২ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শেখ রবীনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। রবীন নর্থ সাউথের এলএলবির তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তাঁর বাবার নাম শেখ সাদেক বাচ্চু। সাদেক বাচ্চু বলেন, নিজের ফ্ল্যাটে সন্ধ্যার পর পারিবারিক বিষয় নিয়ে আলোচনায় বসেন তিনিসহ পরিবারের সদস্যরা। এ সময় তাঁদের সঙ্গে রবীনের কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে নিজের কক্ষে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন রবীন। অনেক ডাকাডাকি করেও দরজা খোলেননি তাঁর ছেলে। পরে দরজা ভেঙে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রবীনকে পাওয়া যায়।