দগ্ধ গৃহবধূর ঢামেকে মৃত্যু, স্বজনদের অভিযোগে স্বামী আটক

খাদিজা আক্তার ওরফে লাবনী
খাদিজা আক্তার ওরফে লাবনী

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার রাত আটটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তাঁর স্বামীকে আটক করেছে।

ওই গৃহবধূর নাম খাদিজা আক্তার ওরফে লাবণী (১৯)। তিনি বরিশালের মুলাদি উপজেলার বানেরচড় গ্রামের জাকির হাওলাদারের মেয়ে। তাঁর স্বামীর নাম বাবু ব্যাপারী (২৫)। বাবু ব্যাপারীর ভাষ্য, তাঁর স্ত্রী দেশলাই দিয়ে দুষ্টুমি করতে গিয়ে দগ্ধ হন বলে তিনি জানতে পেরেছেন। বাবু দিনমজুর।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বরিশালের মুলাদি উপজেলার কুতুবপুর গ্রামে স্বামী বাবু ব্যাপারীর বাসায় দগ্ধ হন খাদিজা। প্রথমে তাঁকে স্থানীয় হাসপাতালে, পরে সদর হাসপাতাল হয়ে শুক্রবার সকালে ঢাকা মেডিকেলে আনা হয়। তাঁর শরীরের ২৪ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল বলে চিকিৎসকদের সূত্রে জানা গেছে।

খাদিজার মা মনোয়ারা বেগম ও বোন পপির অভিযোগ, চিকিৎসাধীন অবস্থায় খাদিজা তাঁদের জানিয়েছেন, বাবু ব্যাপারী তাঁর শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিলেন। তাঁরা স্থানীয় হাসপাতালে থাকা অবস্থায় পোড়া কাপড়ে কেরোসিনের গন্ধ পেয়েছিলেন।

মনোয়ারা বেগম ও পপি জানান, খাদিজার পরিবারের অমতে জোরপূর্বক বাবু তাঁকে বিয়ে করেন। এরপর থেকে তিনি খাদিজাকে বাবার বাড়িও আসতে দিতেন না। তাঁরা দেখা করতে গেলেও দেখা করতে দিতেন না।

আটক বাবু ব্যাপারী বলেন, ‘ঘটনা সময় আমি পাশের রুমে ছিলাম। হঠাৎ চিৎকার শুনে ওই রুমে গিয়ে তাঁর শরীরে আগুন দেখতে পাই। পরে দ্রুত পানি দিয়ে আগুন নিভিয়ে স্থানীয় হাসপাতালে নেই। পরে ঢাকা মেডিকেলে আনি। খাদিজা আমাকে বলেছে, সে দেশলাই দিয়ে দুষ্টুমি করতে গেলে জর্জেটের ওড়নায় আগুন লেগে যায়। মুহূর্তেই তা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।’

আটক বাবু ব্যাপারী আরও বলেন, ‘আমরা দুই বছর প্রেম করে গত কোরবানি ঈদের পর নিজেরা বিয়ে করি। এ বিয়ে খাদিজার পরিবার মেনে নেয়নি। তাই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল না।’

খাদিজা আক্তারের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, খাদিজার মা-বোনের অভিযোগে বাবু ব্যাপারীকে বার্ন ইউনিট থেকে আটক করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানাকে অবিহিত করা হয়েছে।