ধর্ষণের ভিডিও করে জিম্মি বানিয়ে বারবার ধর্ষণের অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

নেত্রকোনা সদর উপজেলায় এক গৃহবধূকে (২৮) ধর্ষণের ঘটনা মুঠোফোনে ভিডিও করে সেটি দিয়ে জিম্মি বানিয়েছিলেন এক যুবক। ধর্ষণের ভিডিও স্বামীকে দেখানো এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে বারবার ধর্ষণ করে আসছিলেন গৃহবধূকে। অবশেষে গৃহবধূ এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করেন। পুলিশ তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে গতকাল সোমবার রাতে ওই যুবককে আটক করে। পরে গৃহবধূর করা মামলায় আজ মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালে। ওই বছর লুকিয়ে গৃহবধূর গোসলের দৃশ্য মৃঠোফোনে ধারণ করেন বিশ্বজিত। পরে সেটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন তিনি। ওই ধর্ষণের ঘটনাও তিনি ভিডিও করেন।

গ্রেপ্তার ওই যুবকের নাম বিশ্বজিত খাঁ (৩২)। তিনি সদর উপজেলার একটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই গৃহবধূ বিশ্বজিতের পরিচিত। ঘটনার সূত্রপাত ২০১৬ সালে। ওই বছর লুকিয়ে গৃহবধূর গোসলের দৃশ্য মৃঠোফোনে ধারণ করেন বিশ্বজিত। পরে সেটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন তিনি। ওই ধর্ষণের ঘটনাও তিনি ভিডিও করেন। এরপর বিভিন্ন সময় ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন তিনি। প্রতিবারই সেগুলো ভিডিও করে রাখতেন বিশ্বজিত। সম্প্রতি বিশ্বজিত ওই নারীকে জিম্মি করে আবার ধর্ষণ করতে গেলে গৃহবধূ প্রতিরোধ করেন। তখন বিশ্বজিত ধর্ষণের ভিডিও তাঁর স্বামীর মুঠোফোনে পাঠিয়ে দেন। এরপর ওই গৃহবধূ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।

পরে বিষয়টি তদন্ত করে সত্যতা পেয়ে গতকাল রাতে নেত্রকোনা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুল ইসলামের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে পুলিশ বিশ্বজিতকে আটক করে। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা মুঠোফোনে ওই সব ভিডিও পাওয়া যায়। পরে আজ বিকেলে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ধর্ষণের মামলা করেন। মামলায় বিশ্বজিতকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

এ ব্যাপারে নেত্রকোনা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আসাদুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তার বিশ্বজিতকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।