নওগাঁয় গৃহবধূকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলায় এক গৃহবধূকে (৪৫) রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গৃহবধূর পরিবারের পক্ষ থেকে করা মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন সিরাজুল ইসলাম (৩৬), বাবু (৪০) ও মিঠুন (৩৮)। মামলার এজাহারভুক্ত অপর আসামি ইউসুফ হোসেন (৩৭) পলাতক।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে ভ্যানে করে রওনা দেন ওই গৃহবধূ। উপজেলার একটি স্থানে ভ্যান থেকে নামেন। সেখান থেকে যাতায়াতের কোনো গাড়ি না পেয়ে তিনি হেঁটে যাচ্ছিলেন। পথের পাশে একটি চালকলের কাছে পৌঁছালে তাঁকে তুলে নিয়ে যান চারজন। পরে পরিত্যক্ত চালকলের গুদামঘরে মিঠুন, বাবু ও ইউসুফ নামের তিন ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করেন। ওই দলের সিরাজুল ইসলাম নামের অপর ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করতে গেলে গৃহবধূ চিৎকার দিলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে যান। তখন সিরাজুল পালিয়ে যান। ওই গৃহবধূ বর্তমানে নওগাঁ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ওই গৃহবধূর পরিবার জানায়, ঘটনার পর সিরাজুল ইসলামকে গ্রামের মধ্যে একটি বাড়িতে আটকে রাখা হয়। সিরাজুলসহ অন্যদের বাঁচানো জন্য মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য প্রভাবশালী ব্যক্তিরা চাপ দেন। কিন্তু পুলিশ খবর পেয়ে রাতে গৃহবধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায় এবং গ্রামবাসীর হাতে আটক সিরাজুলকে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রামবাসীর হাতে আটক সিরাজুলসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত অপর আসামি পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। গ্রেপ্তার তিন ব্যক্তিকে আদালতের মাধ্যমে নওগাঁ কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে নওগাঁ সদর হাসপাতালে গৃহবধূর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। পরীক্ষার প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে।’