নান্দাইলে মহিলা আ.লীগের নেত্রীকে কুপিয়ে হত্যা

ময়মনসিংহের নান্দাইলে মহিলা আওয়ামী লীগের এক নেত্রীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। রাজনীতি না ছাড়ার কারণে চাচাতো দেবর তাঁকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বেতাগৈর ইউনিয়নের চরউত্তরবন্দ গ্রামে অবস্থিত ওই নেত্রীর বাড়ির উঠানে এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত নেত্রীর নাম কাজলি বেগম (৩৫)। তিনি ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী মহিলা লীগের সভানেত্রী।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী পারভীন আক্তার গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে মুঠোফোনে বলেন, কাজলি বেগম তাঁর জা হন। রাজনীতির সঙ্গে জড়িত হওয়ায় তাঁর জাকে ঘন ঘন বাড়ির বাইরে যেতে হয়। এতে পরিবারের সম্মানহানি হচ্ছে জানিয়ে চাচাতো দেবর রফিকুল ইসলাম তাঁকে রাজনীতি ছেড়ে দিতে বলেন। কিন্তু দেবরের কথায় কান দেননি কাজলি বেগম। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কাজলির বসতঘরে গতকাল দুপুরে তালা মারেন তিনি। তাঁর জা বাজার থেকে গরুর খাদ্য ক্রয় করে বাড়িতে ঢুকে দেখতে পান, বসতঘরে তালা মারা। এ দৃশ্য দেখে উত্তেজিত হয়ে উঠানে দাঁড়িয়ে চিৎকার-চেঁচামেচি করতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরে তালা মারার জন্য দেবরের বিচার করতে লোকজন ডাকবেন বলতে থাকেন। এ কথা শুনে ক্ষুব্ধ হয়ে রফিকুল ইসলাম কুড়াল দিয়ে কাজলির মাথায় কোপ দেন। এতে কাজলি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে পরে তাঁকে আরও কুপিয়ে রফিকুল দ্রুত পালিয়ে যান। কাজলির স্বামী মো. জহিরুল ইসলাম খবর পেয়ে বাড়ি থেকে আহত স্ত্রীকে দ্রুত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কিছুক্ষণ চিকিৎসাধীন থাকার পর বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তাঁর মৃত্যু ঘটেছে বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাজলির স্বজনদের জানিয়েছেন।
৪ নম্বর ওয়ার্ডে কর্তব্যরত সহকারী দফাদার রুমা রানী মুঠোফোনে বলেন, ময়নাতদন্ত শেষ হওয়ার পর কাজলির মৃতদেহ বাড়িতে আনা হবে। নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান কাজলি হত্যার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন।