নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত, আহত ৫

আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ছবি: সংগৃহীত
আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত একজনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সকালে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া টেঁটাবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। উপজেলার উচিতপুরা ইউনিয়নের কাদিরদিয়া গ্রামে বুধবার রাত ও বৃহস্পতিবার সকালে দুই দফায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম আনোয়ার হোসেন (৫০)। তিনি কাদিরদিয়া গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে। উচিতপুরা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আবু জাফর তাঁর ভাই। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আবু জাফরের অনুসারীদের সঙ্গে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগের নেতা আবু হানিফের লোকজনের এ সংঘর্ষ হয় বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।

নিহত ব্যক্তির বড় ভাই আলী হোসেন বলেন, এলাকায় রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে আবু হানিফ ও আবু জাফরের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। এর জেরে বুধবার সন্ধ্যায় স্থানীয় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হানিফ তাঁর অনুসারীদের নিয়ে এলাকায় মহড়া দেন। এ নিয়ে আবু জাফরের অনুসারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বেধে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। কিন্তু বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আবু হানিফ আবার অনুসারীদের নিয়ে এলাকায় আসেন। এ সময় তাঁরা আবু জাফরের বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাঁর ভাই আনোয়ার হোসেনকে মারধর করেন। পরে তাঁকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সারফুল ইসলাম বলেন, মাথায় আঘাতের কারণে আনোয়ার হোসেনের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে তাঁরা ধারণা করছেন।

নিহত আনোয়ার হোসেন পেশায় কৃষক ছিলেন। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় আহত পাঁচজন বর্তমানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে কথা বলতে ইউপি সদস্য আবু হানিফের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি। পরে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি সাড়া না দেওয়া তাঁর বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি শান্ত রাখতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।