নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর আত্মহত্যা?

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার চর তিল্লী গ্রামে নির্যাতনের শিকার এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল রোববার ওই গৃহবধূর মা থানায় মামলা করেছেন।

ওই গৃহবধূর নাম রওশন আরা (২০)। তিনি চর তিল্লী গ্রামের শফিকুল ইসলামের স্ত্রী।

পুলিশ ও গৃহবধূর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৪ মাস আগে চর তিল্লী গ্রামের শফিকুল ইসলামের সঙ্গে পাশের পার তিল্লী গ্রামের আবদুর রশিদের মেয়ে রওশন আরার বিয়ে হয়। বিয়ের ছয় মাস না যেতেই যৌতুকের দাবিতে রওশন আরার ওপর নির্যাতন শুরু করেন স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে শনিবার রাতে স্বামীর বাড়িতে ঘরের ভেতর গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেন রওশন। খবর পেয়ে গতকাল সকাল ১০টার দিকে রওশনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

কথা হলে রওশনের ভাই মহিদুর রহমান বলেন, বিয়ের সময় আলমারি, শোকেস, খাটসহ অন্যান্য আসবাব দেওয়া হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে দেড় ভরি স্বর্ণালংকার দেওয়ার কথা থাকলেও বাবার অভাব-অনটনের কারণে আধা ভরি স্বর্ণালংকার দেওয়া হয়। তিনি অভিযোগ করেন, বাকি এক ভরি স্বর্ণালংকারের জন্য তাঁর বোনকে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন মারধর করতেন। শনিবার রাতেও তাঁর বোনকে মারধর করা হয়। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে তাঁর বোন আত্মহত্যা করেন।

রওশনের মা জয়মালা বেগম বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে চারজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন শফিকুল ইসলাম, তাঁর বাবা আনন্দ মিয়া, মা সাহিদা বেগম ও চাচা শামসুল হক।

সাটুরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুর রহমান বলেন, গতকাল সকালে আনন্দ মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে বাকি তিন আসামি পলাতক। তাঁদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।