নেশার টাকা জোগাতে মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে কিশোরকে হত্যা

লাশ
প্রতীকী ছবি

ঢাকার আশুলিয়ায় নিখোঁজের ১২ দিন পর সোহেল রানা (১৬) নামের এক কিশোরের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সজীব (২০) নামের এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ।

সোহেল পাবনার ফরিদপুর উপজেলার পাঁচপুঙ্গলী গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। সে মা–বাবার সঙ্গে আশুলিয়ার গৌরীপুরে বঙ্গবন্ধু সড়কে থাকত। তার বাবা প্রতিবন্ধী আর মা একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন।

পুলিশ জানায়, ১০ নভেম্বর বিকেলে বাড়ি থেকে বের হয়ে সোহেল রানা আর ফেরেনি। ১২ নভেম্বর তার মামাতো ভাই মাসুদ রানা আশুলিয়া থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এই তদন্তের দায়িত্ব পান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন। তদন্ত কর্মকর্তা প্রযুক্তির সহায়তা নিয়ে আজ রোববার ভোরে গৌরীপুর এলাকা থেকে সজীবকে আটক করেন। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সকালে থানার রসায়ন পল্লির জঙ্গল থেকে সোহেল রানার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে লাশটি সোহেলের বলে শনাক্ত করেন তার স্বজনেরা। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এসআই জসিম উদ্দিনের ভাষ্য, মায়ের আয়ে সংসার না চলায় কিশোর বয়সেই সোহেল পোশাক কারখানায় চাকরি নেয়। কিন্তু এলাকার বখাটেদের সঙ্গে মিশে সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। তিন মাস আগে সে চাকরি ছেড়ে দেয়। বখাটে দলের তুষার ও সজীব ১০ নভেম্বর বিকেলে মুঠোফোনে কল করে সোহেলকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন। এরপর তাকে রসায়ন পল্লির জঙ্গলে নিয়ে যান। সেখানে তাঁরা সোহেলের মুঠোফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। নেশার টাকার জন্য এমনটা করেছেন বলে সজীব পুলিশকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন বলে এসআই দাবি করেন। সোহেলের খোয়া যাওয়া মুঠোফোনটি সজীবের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।