পরীমনির মামলায় ব্যবসায়ী নাসিরসহ তিনজনের বিচার শুরু

নাসির ইউ মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি
ফাইল ছবি

ঢাকা বোট ক্লাবে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমনির করা মামলায় ব্যবসায়ী নাসির ইউ মাহমুদসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আগামী ১ আগস্ট এই মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন আজ বুধবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত।

চিত্রনায়িকা পরীমনি
ফাইল ছবি

গত ১৯ এপ্রিল এই মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানি শেষ হয়। শুনানি শেষে আদালত আদেশের জন্য আজকের দিন (১৮ মে) ধার্য করেন। সে অনুসারে আজ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৯-এর বিচারক মোহাম্মদ হেমায়েত উদ্দিন।

অভিযোগ গঠনের সময় আসামি নাসির ইউ মাহমুদ, তুহিন সিদ্দিকী অমি ও শাহ শহিদুল আলম আদালতের কাছে নিজেদের নিরপরাধ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।

আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে করা আবেদন নাকচ করেন আদালত।

মামলার তিন আসামিই এখন জামিনে আছেন।

গত বছরের ১৪ জুন সাভার থানায় পরীমনি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, ৮ জুন রাতে তাঁকে কৌশলে সাভারের বিরুলিয়ায় ঢাকা বোট ক্লাবে ডেকে নিয়ে যান তাঁর পূর্বপরিচিত তুহিন। সেখানে তাঁকে জোর করে মদ পান করানোর চেষ্টা করেন নাসির। একপর্যায়ে তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালানো হয়।

মামলাটি তদন্ত করে গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর নাসির, শহিদুল ও তুহিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।

নাসিরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলার আড়াই মাস পর গত বছরের ৪ আগস্ট পরীমনির বনানীর বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। পরে তাঁকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই মামলায় তাঁকে তিন দফায় মোট সাত দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

গ্রেপ্তারের ২৭ দিন পর গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর পরীমনি জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পান।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এ বিচারকাজ চলছে। মামলাটি এখন সাক্ষ্য গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে।

চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি পরীমনি জানান, তিনি মা হতে যাচ্ছেন।