পাপিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনের মামলার রায় ১২ অক্টোবর

শামীমা নূর পাপিয়া
ফাইল ছবি

অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়েছে। আগামী ১২ অক্টোবর এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।

আজ রোববার ঢাকা মহানগরের ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম ইমরুল কায়েশ রায় ঘোষণার এ তারিখ ঠিক করেন।

এর আগে পাপিয়ার পক্ষে যুক্তিতর্ক শুনানি উপস্থাপন করেন তাঁর আইনজীবী সাখাওয়াত উল্লাহ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত রায় ঘোষণার দিন ঠিক করেছেন।

এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চাওয়া হয়েছে।

মামলার অপর আসামি পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীর পক্ষে আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন আগেই শেষ করা হয়।

যুক্তিতর্ক শুনানি উপলক্ষে আজ কারাগার থেকে পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুরকে আদালতে হাজির করা হয়।

গত ২৩ আগস্ট পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুরের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত।

চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া ও তাঁর স্বামী মফিজুর বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকার বিমানবন্দর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে বুকিং দেওয়া বিলাসবহুল প্রেসিডেনশিয়াল স্যুট রুম ও ইন্দিরা রোডের ফ্ল্যাট থেকে বিদেশি একটি পিস্তল, ২টি ম্যাগাজিন, পিস্তলের ২০টি গুলি, ৫ বোতল দামি বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেক, কিছু বিদেশি মুদ্রা, এটিএম কার্ড প্রভৃতি উদ্ধার করে র‍্যাব।

র‍্যাব জানায়, পাপিয়া ও তাঁর স্বামীর মালিকানায় ইন্দিরা রোডে দুটি ফ্ল্যাট, নরসিংদীতে দুটি ফ্ল্যাট, ২ কোটি টাকা দামের দুটি প্লট, তেজগাঁওয়ে এফডিসি ফটকের কাছে গাড়ির শোরুমে ১ কোটি টাকার বিনিয়োগ, নরসিংদী জেলায় কেএমসি কার ওয়াশ অ্যান্ড অটো সলিউশন নামের প্রতিষ্ঠানে ৪০ লাখ টাকা বিনিয়োগ আছে।

এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুটি, অস্ত্র আইনে আরেকটি মামলা করে র‌্যাব।

পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) অবৈধ পাঁচ কোটি টাকার খোঁজ পেয়ে পাপিয়া ও তাঁর সহযোগীদের মানি লন্ডারিং আইনে আরেকটি মামলা করে।

পাপিয়াকে নরসিংদী যুব মহিলা লীগের কমিটি থেকে বহিষ্কার করা হয়।