পাশে এসে টাকা ফেলেন, সেদিকে মনোযোগ দিতেই গ্রাহকের টাকা নিয়ে চম্পট দেন

অপরাধ
প্রতীকী ছবি

গোপালগঞ্জে অভিনব কায়দায় প্রতারণা করে ব্যাংকে যাওয়া গ্রাহকের টাকা নিয়ে পালানো প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা দেশের বিভিন্ন ব্যাংক ও পোস্ট অফিসে গ্রাহক বেশে ঢুকে অন্য গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করে টাকা লুটে নিচ্ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। গোপালগঞ্জ থানার পুলিশ গতকাল শুক্রবার তাঁদের গ্রেপ্তারের কথা জানায়।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন বরিশালের মূলাদি উপজেলার উত্তর পাতারচর গ্রামের মো. রেদোয়ান তালুকদার (৪০) ও খুলনার রূপসা উপজেলার দেয়ারা পশ্চিমপাড়ার মো. আবিদুল হাসান ওরফে মিন্টু শেখ (৪৫)।

প্রতারণার ঘটনায় গোপালগঞ্জ থানায় করা মামলায় বলা হয়েছে, গত ৬ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জ প্রধান ডাকঘরে মেয়াদপূর্তির পর সঞ্চয়পত্রের ১০ লাখ টাকা ও মুনাফা তুলতে যান গ্রাহক হেমলতা বিশ্বাস (৫৫) ও তাঁর স্বামী সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস (৬৬)। তাঁরা ক্যাশ কাউন্টার থেকে মূল টাকা ১০ লাখ হাতে পেয়ে ব্যাগে রাখার পর মুনাফার জন্য দাঁড়ান। কাছে স্বীকার করেন। এবারই প্রথম তাঁরা পুলিশের কাছে ধরা পড়লেন।

এ অবস্থায় ওই প্রতারক চক্রের কয়েক সদস্য তাঁদের ঘিরে রেখে পায়ের ওপর কিছু টাকা ফেলে দেন। পায়ের ওপর পড়া টাকার দিকে মনোযোগ দিতেই প্রতারক চক্রের সদস্যরা ১০ লাখ টাকার ব্যাগটি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যান। ১ অক্টোবর সুরেশ চন্দ্র বিশ্বাস বাদী হয়ে এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন।

গোপালগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বলেন, পৃথক অভিযান চালিয়ে ওই দুই প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা চট্টগ্রামের বাঁশখালিতে ইসলামী ব্যাংক, জামালপুরের সোনালী ব্যাংক, রংপুরের আল-আরাফা ব্যাংক, রাজশাহীর অগ্রণী ব্যাংক, গোপালগঞ্জ পোস্ট অফিসসহ বিভিন্ন ব্যাংক ও পোস্ট অফিসে এ ধরনের প্রতারণার কথা স্বীকার করেছেন। এভাবে তাঁরা অন্তত দুই কোটি টাকা লুট করেছেন বলে পুলিশের