পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষ

রংপুর
রংপুর

আটকের কয়েক ঘণ্টা পর রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার ভেন্দাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে এক ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে গ্রামবাসীর সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। গ্রামবাসীর অভিযোগ, পুলিশ ফাঁড়িতে আটক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, আটক ব্যক্তি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম শামসুল ইসলাম (৫৫)। তিনি মিঠাপুকুর উপজেলার শান্তিপুর গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

পুলিশের ভাষ্য, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে ভেন্দাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ২৫ লিটার চোলাই মদসহ শামসুল ইসলামকে পীরগঞ্জ উপজেলার বড় দরগা ইউনিয়নের ইসমাইলপুর গ্রাম থেকে আটক করে। আটকের পর তাঁকে নিয়ে আসা হয় ভেন্দাবাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে। আজ বুধবার সকালে পুলিশ ফাঁড়ির গ্রিলের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তাঁর মরদেহ দেখা যায়।

পুলিশ হেফাজতে শামসুল ইসলামের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে আজ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে গ্রামবাসী পুলিশ ফাঁড়িতে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালান। তাঁরা পুলিশের দিকে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করেন। ওই সময় গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ্গ করতে পাঁচটি শটগানের গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে পুলিশ। দুপুর ১২টা পর্যন্ত পুলিশ ও গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষের তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরেস চন্দ্র। তিনি বলেন, শামসুল ইসলাম তাঁর পরনের ফতুয়া দিয়ে গ্রিলের সঙ্গে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। কিন্তু গ্রামবাসী পুলিশের বিরুদ্ধে শামসুল ইসলামকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ তুলে থানা ঘেরাও করেছিলেন। ওই সময় গ্রামবাসীকে ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়া হয়।

পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) টি এ এম মোমিনের নেতৃত্বে পীরগঞ্জ থানায় শামসুল ইসলামের লাশের সুরতহাল করা হয়েছে। ইউএনও জানিয়েছেন, সুরতহালে লাশের দেহে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।