পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে মাদককারবারিকে ছিনতাই, পরে গ্রেপ্তার

চুয়াডাঙ্গা জেলার মানচিত্র

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মাদকবিরোধী অভিযানকালে সংঘবদ্ধ মাদককারবারিদের হামলায় পুলিশের এক উপপরিদর্শকসহ (এসআই) চারজন আহত হয়েছেন। এ সময় হামলাকারীরা পুলিশের কাছ থেকে গ্রেপ্তার মাদককারবারি হিসেবে পরিচিত আবদুল হাকিমকে ছিনিয়ে নেন। পরে পুলিশ তাঁকেসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে।

দর্শনা থানা–পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দর্শনা পৌর এলাকার ঈশ্বরচন্দ্রপুরে গতকাল বিকেলে মাদকবিরোধী অভিযানে যায় পুলিশ। সন্ধ্যার দিকে অনেকগুলো মাদক মামলার আসামি আবদুল হাকিমকে ঈশ্বরচন্দ্রপুর কবরস্থানের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁকে থানায় নেওয়ার উদ্যোগ নিলে মাদককারবারিরা সংগঠিত হয়ে লাঠিসোঁটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালান। তাঁরা হাকিমকে ছিনিয়ে নেন। হাকিম হাতকড়াসহ পালিয়ে যান। হামলায় আহত হন দর্শনা থানা–পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এমদাদুল হক, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আবদুল্লাহ আলম মামুন, এএসআই ইদ্রিস আলী ও কনস্টেবল সোহেল। আহত ব্যক্তিদের দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

এদিকে এই হামলা ও আসামি ছিনতাইয়ের খবর পৌঁছালে দর্শনা থানা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে হাতকড়াসহ হাকিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর সন্ধ্যা থেকে রাতভর অভিযান চালিয়ে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার ওই তিনজন হলেন ঈশ্বরচন্দ্রপুরের খায়রুল ইসলাম, হাশেম আলী ও রাশেদ।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাব্বুর রহমান কাজল এই খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা চিহ্নিত মাদককারবারি। তাঁরা পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণের পরও মাদক কারবার চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালালে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। তিনি জানান, এ ঘটনায় দর্শনা থানার এসআই মাহমুদুল হক বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০–১২ জনকে আসামি করে মামলা করেন।