প্রবাসী ছোট ভাইয়ের সনদে চাকরি করছেন বড় ভাই

অপরাধ
প্রতীকী

ছোট ভাই রফিকুল ইসলাম সৌদিপ্রবাসী। বড় ভাই নজরুল ইসলাম দেশেই আছেন। তিনি ছোট ভাইয়ের সনদ ব্যবহার করে গত ২৭ আগস্ট নিরাপত্তাকর্মী পদে একটি দাখিল মাদ্রাসায় চাকরি পেয়েছেন। মাদ্রাসার সুপার ইউনুস আলী ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাহাদাত আলী মোল্লার বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে এ নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় লোকজন।

নজরুল ইসলামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মাকসুদপুর উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের বনগ্রামে। গত সোমবার (১৩ অক্টোবর) এ নিয়োগের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এলাকাবাসী। ওই লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসায় নিরাপত্তাকর্মী পদে একজনকে ঘুষ নিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক দুই সভাপতি এনামুল হক ও নূরুল হক মাতুব্বর বলেন, মাদ্রাসার সুপার ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজশে টাকার বিনিময়ে চলতি বছরের ২৭ আগস্ট নিরাপত্তাকর্মী ও আয়া পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। নিরাপত্তাকর্মী পদে কাগজে–কলমে নিয়োগ পেয়েছেন রফিকুল ইসলাম। কিন্তু তিনি ২০১৮ সাল থেকে সৌদি আরবে থাকেন। মূলত নিজের চাকরির বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় নজরুল ইসলাম তাঁর ছোট ভাই রফিকুলের সনদ ব্যবহার করে চাকরি নিয়েছেন। বিনিময়ে তিনি মাদ্রাসা সুপার ও শিক্ষা কর্মকর্তাকে ছয় থেকে সাত লাখ টাকা দিয়েছেন।

অভিযোগের বিষয়ে বনগ্রাম ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার ইউনুছ আলী বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। যদি কোনো প্রার্থী তথ্য গোপন করেন, তাঁর জন্য আমরা দায়ী নই। এ ছাড়া নিয়োগে কোনো অর্থেরও লেনদেন হয়নি। মুকসুদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সাহাদাত হোসেন মোল্লা বলেন, বিধি মোতাবেক নিয়োগ হয়েছে।

নিরাপত্তাকর্মী পদে নিয়োগ পাওয়া নজরুল ইসলাম ছোট ভাইয়ের সনদ ব্যবহারের অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ‘আমার সব কাগজপত্র ঠিক আছে। আমি স্থানীয় দলীয় কোন্দলের শিকার। আমার বয়স ৩৪ বছর। এ বয়সে এসে একটা ছোট চাকরি নিলাম, কিন্তু এ নিয়েও ঝামেলা শুরু করেছে প্রতিপক্ষ।’

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেন, তদন্তে অনিয়মের অভিযোগ প্রমাণিত হলে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।