প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে জটিলতায় নারী আইনজীবী কারাগারে

কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আফরোজা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন যে মোস্তফার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক আছে। সম্প্রতি তিনি বিয়ের জন্য মোস্তফাকে বলছিলেন। কিন্তু মোস্তফা বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। তখন মোস্তফাকে বাসায় নিয়ে বিয়ের চাপ দেওয়া হয় বলে ওসি জানান।

কিশোরগঞ্জে মোস্তফা আলম নামের এক আইনজীবীকে অপহরণের অভিযোগে করা মামলায় শিক্ষানবিশ আইনজীবী আফরোজা জামানকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে কিশোরগঞ্জ ২নং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক শহীদুল ইসলামের খাস কামরায় মামলার নথি পাঠানো হলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করেন। আফরোজাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।

আদালতের জিআরও (জেনারেল রেজিস্ট্রার অফিসার) নজরুল ইসলাম এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের আদেশের পর আফরোজাকে রাতেই কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য মোস্তফা আলম তাঁকে অপহরণের অভিযোগে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামি করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা করেন। নাম উল্লেখ করা চার আসামি হলেন আফরোজা জামান, তাঁর বড় ভাই মো. রানা, প্রতিবেশী মো. সাফায়েত ও মো. ইসফাম।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, আফরোজা পুলিশের কাছে দাবি করেছেন যে মোস্তফার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক আছে। সম্প্রতি তিনি বিয়ের জন্য মোস্তফাকে বলছিলেন। কিন্তু মোস্তফা বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান। তখন মোস্তফাকে বাসায় নিয়ে বিয়ের চাপ দেওয়া হয় বলে ওসি জানান।

আর মামলার এজাহারে মোস্তফা আলম অভিযোগ করেছেন, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তিনি কর্মস্থলের উদ্দেশে রওনা হন। জেলা জজ আদালতের মূল ফটকের সামনে পৌঁছানোমাত্র আসামিরা তাঁর পথরোধ করেন। তাঁকে জোর করে একটি সাদা মাইক্রোবাসে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে তাঁকে আফরোজার বাসায় নিয়ে আটকে রাখা হয়। খবর পেয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানা-পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।