ফেসবুকে প্রেম, বিজিবি সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার মামলা

ধর্ষণচেষ্টা
প্রতীকী ছবি

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এক সদস্যের বিরুদ্ধে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানায় মামলা হয়েছে। নড়াইলের স্নাতক (সম্মান) শেষ বর্ষের এক ছাত্রী (২৩) আজ বুধবার মামলাটি করেন। মামলার অভিযোগে বাদী উল্লেখ করেছেন, ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে ওই বিজিবি সদস্যের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। এরপর বিয়ের কথা বলে তাঁকে যশোরের একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন এবং চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।

ওই বিজিবি সদস্যের নাম সোহেল রানা (৩৮)। তিনি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি থানার সগুনা গ্রামের মো. বদিউজ্জামানের ছেলে। বর্তমানে তিনি বিজিবি কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নে ল্যান্স নায়েক হিসেবে কর্মরত। বাদীর বাড়ি নড়াইল সদরে।

মামলায় ছাত্রী অভিযোগ করেছেন, ৪ থেকে ৫ মাস আগে ফেসবুকে সোহেল রানার সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেম। এর সূত্র ধরে ২৯ সেপ্টেম্বর তাঁকে যশোরের একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন তিনি। এরপর বিয়ের কথা বলে ১৯ অক্টোবর তিনি তাঁকে ফোন দেন এবং চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় যেতে বলেন। পরের দিন তিনি দর্শনা যান। সোহেল রানা তাঁকে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দর্শনার একটি হোটেলে ওঠেন। তিনি ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি চিৎকার দেন। তখন হোটেলের লোকজন সেখানে যান এবং পুলিশকে খবর দেন।

ওই হোটেলের মালিক এহসানুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দুজন মঙ্গলবার দুপুরের পর হোটেলের কক্ষ ভাড়া চাইলে সন্দেহ হয়। এরপর বিয়ের কাবিননামা দেখাতে বললে পুরুষ লোকটি নিজেকে বিজিবির কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে হুমকি-ধমকি দেন এবং কক্ষ খুলে দিতে বাধ্য করেন।’ তাঁর দাবি, সোহেল রানা গত বছরের ১৮ জানুয়ারি অন্য একজন মেয়েকে তাঁর স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলের কক্ষ ভাড়া নিয়েছিলেন।

দর্শনা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শেখ মাহবুবুর রহমান থানায় মামলা দায়েরের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে।