ফেসবুকের জেরিন আফরিন আসলে মামুন হোসেন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

জেরিন আফরিন রুমা নন, এই নামে ফেসবুক আইডি চালাচ্ছিলেন মামুন হোসেন রুবেল নামের এক যুবক। তিনিই প্রচার করেছিলেন ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ত্রাণ দেওয়ার কথা বলে এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন।

এ কাজে মামুনকে সহযোগিতা করছিলেন শাহপরাণ আলম খান।

চাঁদপুর জেলা পুলিশ ও বাংলাদেশ পুলিশের সাইবার টিম চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের মিতু কম্পিউটার নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে মামুন হোসেনকে এবং একই উপজেলার গজারিয়া থেকে শাহপরাণকে গ্রেপ্তার করেছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা দোষ স্বীকার করেছেন।

পুলিশ সদরদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক মো সোহেল রানা জানান, গত ২৯ এপ্রিল ভোর ৪টার কিছু পরে জেরিন আফরিন রুমা এই ফেসবুক আইডি থেকে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তোলা হয়।
পোস্টটি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ তদন্তে নামে। বিষয়টি আঁচ করতে পেরে জেরিন আফরিন রুমা নামধারী ওই তরুণ দোষ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে আরেকটি পোস্ট দেন।
ওই পোস্টে তিনি লেখেন, করোনা ভাইরাস মহামারীর সময়ে বাংলাদেশ পুলিশের চলমান মানবিক কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং গুজব রটাতে এক ব্যক্তির প্ররোচনায় তিনি পোস্টটি করেছিলেন। আসলে এমন কোনো ঘটনা-ই ঘটেনি। যে তরুনীর ধর্ষিত হওয়ার কথা তিনি বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে তিনি তাঁকে চেনেন না বা ওই নামে আদৌ কেউ রয়েছেন বলে তাঁর জানা নেই।
ওই ব্যক্তিরই প্ররোচনায়, তিনি অচেনা একটি মেয়ের ছবি ডাউনলোড করে পোস্টে জুড়ে দিয়েছেন। গুজব রটানোর কারনে তিনি লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী।
তবে পরে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সদরদপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক মো সোহেল রানা বলেছেন, যে কোনো গঠনমূলক সমালোচনা ও সঠিক অভিযোগের ক্ষেত্রে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নিতে বাংলাদেশ পুলিশ কার্পণ্য করেনি এবং করবেও না। পাশাপাশি, গুজব রটিয়ে ও মিথ্যাচার করে মানুষকে বিভ্রান্ত করা ও জনস্বার্থবিরোধী যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পুলিশের কঠোর আইনি অবস্থান অব্যাহত থাকবে।