বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর: জামায়াতের নায়েবে আমিরসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের অভিযোগে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে ছয়জনের বিরুদ্ধে গত সোমবার রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সীতাকুণ্ডে আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইআইইউসি) ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আ. ন. ম. শামছুল ইসলাম, এক সদস্য, তিন শিক্ষক ও এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলাটি করেন কামাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি।

কামাল উদ্দিন চট্টগ্রাম জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের আইনবিষয়ক সহসম্পাদক।

আসামি শামছুল ইসলাম সাবেক সাংসদ। বাকি পাঁচ আসামি হলেন জামায়াত নেতা ও বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য আহসান উল্ল্যাহ, জামায়াত নেতা ও ব্যবসায় অনুষদের ডিন মাহবুব রহমান, জামায়াতের রুকন সাবেক প্রক্টর কাওসার আহমেদ, সাবেক সহকারী প্রক্টর নিজাম উদ্দিন ও কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল আলম।

এজাহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ জানুয়ারি সকাল ১০টার দিকে এই ছয় আসামির প্ররোচনায় ছাত্রশিবিরের ৭০ জন ক্যাডার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে থাকা ছাত্রলীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করেন।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন মোল্লা প্রথম আলোকে বলেন, মামলাটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তদন্ত চলছে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক প্রক্টর কাওছার আহমেদ দাবি করেছেন, ঘটনার দিন তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছিলেন না। অসুস্থ থাকায় ছুটিতে ছিলেন। তবু তাঁকে আসামি করা হয়েছে।

গত ২৭ জানুয়ারি এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগ উঠে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। ঘটনার এক দিন পর ২৯ জানুয়ারি শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ছাত্র নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মিছিল ও মানববন্ধন করেন শিক্ষক ও ছাত্ররা। ওই দিন জরুরি সিন্ডিকেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রেণি কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করে রাতের মধ্যে ছাত্রদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। ৭ ফেব্রুয়ারি নির্যাতিত ছাত্র বাদী হয়ে ১১ ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব ধরনের রাজনীতি ও র‌্যাগিং নিষিদ্ধ করে। ওই রাতেই সীতাকুণ্ড থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি হয়।