বদরুন্নেসার শিক্ষক রুমা সরকার কারাগারে

চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত
প্রথম আলো ফাইল ছবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার রাজধানীর বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক রুমা সরকারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, রমনা থানা-পুলিশ রুমা সরকারকে দুদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করে। অপরদিকে রুমা সরকারের জামিন চেয়ে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবীরা। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত রুমা সরকারের জামিন আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

রাজধানী পল্লবীর ‘সাহিনুদ্দীন’ হত্যাকাণ্ডের নৃশংস ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নোয়াখালীর ‘যতন সাহা’ হত্যাকাণ্ড বলে অপপ্রচারের অভিযোগে রুমা সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত বুধবার র‍্যাব সদর দপ্তরে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে তাঁর বিরুদ্ধে রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়। গত বৃহস্পতিবার আদালত রুমা সরকারকে দুদিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।

গত ১৬ মে বিকেলে পল্লবীর সিরামিকস ফটকের কাছে দুর্বৃত্তরা শিশুপুত্রের সামনে বাবা সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে। গত মঙ্গলবার দুপুরে সেই ভিডিও ক্লিপ নোয়াখালীর যতন সাহার বলে ফেসবুকে আপলোড করে গুজব ছড়ানো হয়। ভারতের দুটি আইডি থেকে সাহিনুদ্দিন হত্যার ভিডিও ক্লিপটি নোয়াখালীর যতন সাহার বলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল কে এম আজাদ প্রথম আলোকে জানান, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় র‍্যাব জানতে পারে, সাহিনুদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ক্লিপটি ভারতের কলকাতা থেকে দেবদৃতা ভৌমিক নামের একজন প্রথম ফেসবুক মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেন। আর দেবদাস মণ্ডল কলকাতা থেকেই ওই ভিডিও টুইটারে আপলোড করে গুজব ছড়ান। ওই গুজব ছড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশভিত্তিক কুশীলবদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে রুমা সরকারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র‍্যাব সদর দপ্তরে নেওয়া হয়।

আরও পড়ুন