বন্ধুকে খুন করে বস্তায় ভরে মাটিচাপা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলায় বন্ধুকে খুনের পরে বস্তায় ভরে মাটিচাপা দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন এক যুবক। আদালতে আজ সোমবার বিকেলে হত্যার বিষয়ে ওই যুবক স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া যুবকের নাম মো. সোহেল (২৮)। তিনি রামগঞ্জের নাগমুদ গ্রামের বাসিন্দা। নিহত বন্ধুর নাম মো. সুমন (২৬)। সুমন কুমিল্লার মুরাদপুরের সুজানগর গ্রামের বাসিন্দা। সোহেল ও সুমন রামগঞ্জের সোনাপুর বাজারের একটি মুদি দোকানের কর্মচারী।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সুমন হত্যায় জড়িত সন্দেহে গতকাল রোববার দুপুরে সোহেলকে আটক করে হয়। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুমনের লাশ উদ্ধার করা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের উত্তর নাগমুদ গ্রামের একটি সুপারিবাগান থেকে ওই লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় সুমনের বাবা মো. ইউনুছ মিয়া বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় মামলা করেন। এতে সোহেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

পুলিশ জানায়, রামগঞ্জের সোনাপুর বাজারের মো. ইউসুফের মুদি দোকানে সুমন ও সোহেল কয়েক বছর ধরে চাকরি করছেন। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুমনের কাছ থেকে সোহেল টাকা ধার নেন। পাওনা টাকা নিয়ে তাঁদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। ২১ জুলাই রাত থেকে সুমন নিখোঁজ হন। কোথাও খুঁজে না পেয়ে সুমনের বাবা রামগঞ্জ থানায় ২৭ জুলাই একটি লিখিত অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ সোহেলকে আটক করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহেলকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন।

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার পরে সোহেলকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।