বরিশালে সওজের অফিস সহকারীকে ৫ বছরের কারাদণ্ড, বাড়ি বাজেয়াপ্ত

আদালত
প্রতীকী ছবি

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় বরিশাল সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কার্যালয়ের অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক এ কে এম সেলিম হাওলাদারকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আদালত তাঁকে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন। এ ছাড়া তাঁর চারতলা একটি বাড়ি রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মহসিনুল হক আসামির উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন। রায়ের পর আসামিকে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশিদ বলেন, সেলিম হাওলাদার ১৯৯১ সালের ১২ আগস্ট নিজের ও স্ত্রীর নামে বরিশাল নগরের আলেকান্দা মৌজায় ৪১৩ খাদেম হোসেন সড়কে ১১ শতক জমি কিনে চারতলা বাড়ি বানান। দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ওই বাড়ির নির্মাণ ব্যয় উল্লেখ করেন ২৭ লাখ ২৭ হাজার ২১৫ টাকা। কিন্তু ২০১০ সালের ১ মার্চ বাড়িটির নির্মাণ ব্যয় মূল্যায়ন করে দেখা যায়, তা ৬১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩৫ টাকা। সম্পদের তথ্য গোপন ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে সেলিমের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে মামলা করে দুদক।

আদালতের সরকারি কৌঁসুলি মাছুদুল হক খান বলেন, সেলিমের বিরুদ্ধে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী। মামলার অভিযোগে বলা হয়, সেলিমের কাছে দুদক স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব চেয়ে নোটিশ জারি করলে ২০০৯ সালের ৩ ডিসেম্বর তিনি হিসাব বিবরণী দাখিল করেন। হিসাব বিবরণীতে ৩৪ লাখ ৪১ হাজার ৫২০ টাকার গরমিল পায় দুদক। এ ছাড়া ১৯৭৯ সালের ৮ মার্চ থেকে ২০১০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত আয়-ব্যয় বিবরণী যাচাই করে দুদক সেলিমের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২২ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৮ টাকার প্রমাণ পায়। ২০১৫ সালের ৩১ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।