বাঁশখালীর ঘটনায় বিচারিক অনুসন্ধান চেয়ে রিট

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামের বাঁশখালীর গণ্ডামারায় বিদ্যুৎকেন্দ্রের শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের তালিকা তৈরিসহ প্রকৃত ঘটনা উদ্‌ঘাটনে বিচারিক অনুসন্ধান কমিটি গঠনের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে।

আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) পক্ষে আজ বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করা হয়। নিহত শ্রমিকদের পরিবারসহ আহত শ্রমিকদের ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দিতে অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে রিটে।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি ২৫ এপ্রিল উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন আসকের আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন।

এর আগে ১৭ এপ্রিল বাঁশখালীর গণ্ডামারায় সংঘর্ষের সময় পুলিশের গুলিতে পাঁচ শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩ পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন। শিল্প গ্রুপ এস আলমের মালিকানায় এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট নামে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। চীনা প্রতিষ্ঠান সেফকো থ্রি পাওয়ার কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড এখানে অর্থায়ন করেছে।

ওই ঘটনায় নিহত প্রত্যেক শ্রমিকের পরিবারকে তিন কোটি টাকা ও আহত ব্যক্তিদের প্রত্যেককে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবসহ সাত সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বরাবরে ১৮ এপ্রিল আইনি নোটিশ পাঠায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র।

নোটিশের জবাব না পেয়ে রিটটি করা হয় জানিয়ে আইনজীবী সৈয়দা নাসরিন প্রথম আলোকে বলেন, এসএস ওয়ান পাওয়ার লিমিটেড, এস আলম গ্রুপ, সেফকো থ্রি ইলেকট্রিক পাওয়ার কনস্ট্রাকশন করপোরেশন ও এইচটিজি ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ কোম্পানি লিমিডেট যৌথভাবে যাতে নিহত-আহত শ্রমিকদের আপাতত ২০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেয়, সে জন্য অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

রিটের প্রার্থনায় দেখা যায়, ওই সংঘর্ষে বিদ্যুৎকেন্দ্রে পাঁচ-ছয়জন শ্রমিক নিহত ও শতাধিক শ্রমিক আহতের ঘটনায় যথাযথ পদক্ষেপ নিতে এবং হতাহত ব্যক্তিদের পরিবারের পরবর্তী নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা-ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না—এ বিষয়ে রুল চাওয়া হয়েছে। প্রত্যেক নিহত শ্রমিকের পরিবারকে তিন কোটি এবং আহত শ্রমিকদের দুই কোটি টাকা করে যৌথভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—এ বিষয়েও রুল চাওয়া হয়েছে রিটে।

রুল হলে তা বিচারাধীন অবস্থায় নিহত ও আহত শ্রমিকের পরিবারের পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিতের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে রিটে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দুই সচিব, আইনসচিব, শিল্পসচিব, বাণিজ্যসচিব, জ্বালানিসচিব, পরিবেশসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ওই চার কোম্পানিসহ রিটে বিবাদীর সংখ্যা ২২।