বান্দরবানে আ.লীগ হত্যা, ৫ জনকে ডাকা হলো থানায়

বান্দরবানে আওয়ামী লীগ নেতা চথোয়াইমং মারমাকে অপহরণের পরে হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকার সন্দেহে শনিবার পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য ও জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক কে এস মং মারমা, জেলা জেএসএসের সাধারণ সম্পাদক ও রোয়াংছড়ি উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ক্যবামং মারমা রয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা ব্যক্তিরা অপহরণ ও হত্যার ঘটনায় জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাঁদের সঙ্গে সন্ত্রাসী দলের যোগসূত্র আছে কিনা তা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। তাঁরা হলেন কে এস মং মারমা (৫৫), ক্যবামং মারমা (৪৯), কোলক্ষ্যং মৌজার হেডম্যান (মৌজাপ্রধান) থোয়াইহ্লাপ্রু মারমা (৫৩), জর্ডানপাড়ার কার্বারী মংহ্লা ত্রিপুরা (৬৫)। একজনের নাম পাওয়া যায়নি।

জেএসএসের জেলা সভাপতি উছোমং মারমা প্রথম আলোকে বলেন, দুপুরে নিরাপত্তা বাহিনী কে এস মং মারমা ও ক্যবামং মারমাকে ডেকে নিয়ে যায়। কেন ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সে সময় তাঁদের বলা হয়নি। পরে তাঁদের দুজনকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তিনি শুনেছেন।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচজনকে থানায় নেওয়া হয়েছে। তাঁদের গ্রেপ্তার কিংবা আটক করা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণ ও হত্যার ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কোনো তথ্য পাওয়া না গেলে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে। যোগসূত্র থাকার তথ্য পেলে তাদের গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হবে।