বারান্দায় গৃহবধূর লাশ, ঘরে স্বামীর ঝুলন্ত দেহ

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

বারান্দায় গৃহবধূর রক্তাক্ত লাশ। আর ঘরের ভেতরে স্বামীর ঝুলন্ত মরদেহ। টাঙ্গাইলের কালিহাতীর আউলিয়াবাদ গ্রামে গতকাল সোমবার রাতে এমন অবস্থায় দুটি লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত গৃহবধূ আনোয়ারা বেগম (৪৫) আউলিয়াবাদ গ্রামের লাল মামুদের (৫২) স্ত্রী।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে থানা-পুলিশ জানায়, এই দম্পতির দুই ছেলে প্রবাসে থাকেন। তাঁরা মায়ের কাছে টাকা পাঠাতেন। ছেলেদের টাকা নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে লাল মামুদের বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে ঘরের বারান্দায় দা দিয়ে কোপানো শুরু করেন মামুদ। আনোয়ারার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসেন। কিন্তু বারান্দার গ্রিলের দরজায় তালা লাগানো থাকায় তাঁরা ভেতরে যেতে পারেননি। মামুদ রক্তাক্ত দা হাতে বারান্দাতেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। ঘটনাস্থলে আনোয়ারার মৃত্যু হয়। গ্রামের লোকজন ওই বাড়ি ঘেরাও করে রাখে। একপর্যায়ে লাল মামুদ ঘরে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন।

খবর পেয়ে রাতেই কালিহাতী থানার পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান। টিনের বেড়া কেটে তাঁরা ঘরে ঢোকেন। বারান্দা থেকে আনোয়ারা বেগমের এবং ঘরের ভেতর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় লাল মামুদের লাশ উদ্ধার করেন তাঁরা। আজ মঙ্গলবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ দুটি টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, এ ঘটনায় নিহত আনোয়ারা বেগমের মেয়ে বাদী হয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যেহেতু হত্যাকারী নিজেও আত্মহত্যা করেছেন, তাই মামলা দায়েরের পর চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হবে।