বিদ্যালয় সংস্কারের নামে অর্থ আত্মসাৎ

পঞ্চগড়ে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংস্কারের নামে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি গত বুধবার জেলা প্রশাসক, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ দেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, পঞ্চগড় সদর উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের ধনীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংস্কার ও উন্নয়নে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে এক লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পায়। স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৩-এর আওতায় ওই অর্থ বরাদ্দ হয়। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফাজ উদ্দিন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও সহসভাপতিকে কিছু না জানিয়ে ওই টাকা তুলে নেন। এ ছাড়া কমিটির অন্য সদস্যদের ভুল বুঝিয়ে তাঁদের স্বাক্ষর নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে ভুয়া কার্যবিবরণী দাখিল করেন। তিনি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজশে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বুঝিয়ে ভুয়া বিল-ভাউচার দাখিলের মাধ্যমে আত্মসাৎ করা অর্থ বৈধ করার চেষ্টা করেছেন। অভিযোগে আরও বলা হয়, প্রধান শিক্ষক গত তিন মাস ধরে সভাপতি অহিদুল ইসলামের সই জাল করে সরকারি বেতনও তুলছেন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আনজু মান্দ বানু বলেন, ‘কমিটির কার্যবিবরণী এবং প্রকল্পের তদারকির দায়িত্বে থাকা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলীর সনদ দেখে আমরা অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছি।’
সদর উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী আজিজার রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট শিক্ষা কর্মকর্তার সুপারিশের ভিত্তিতে আমি কাজের সনদ দিয়েছি।’
অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক আফাজ উদ্দিন বলেন, ‘এক লাখ ৫০ হাজার টাকা দিয়ে আমরা স্কুলের শ্রেণিকক্ষ ও শৌচাগার সংস্কারসহ বিদ্যুতের কাজ করেছি। সভাপতিকে অবৈধ সুযোগ না দেওয়ায় তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন।’