মুন্সিগঞ্জ সদর উপজেলায় গত বুধবার পল্লী বিদ্যুতের আঞ্চলিক কার্যালয়ে ঢুকে উপমহাব্যবস্থাপকের (ডিজিএম) সামনেই ওই কার্যালয়ের কর্মচারী দেওয়ান মো. সাহাবুদ্দিনকে (৪০) পেটালেন আওয়ামী লীগ নেতা ও পৌর কাউন্সিলর মকবুল হোসেনের তিন ভাই। এ সময় মকবুলও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এ ঘটনায় মকবুলের তিন ভাইকে আসামি করে বুধবার রাতেই পল্লী বিদ্যুতের এজিএম (প্রশাসন) সৈয়দা ফারজানা থানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সাবেক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মকবুলের তিন ভাই দেলোয়ার হোসেন, মনির হোসেন ও আক্তার হোসেন বিদ্যুতের মিটার অবৈধভাবে সংযোগের জন্য পল্লী বিদ্যুতের ওয়ারিং পরিদর্শক সাহাবুদ্দিনকে চাপ দিচ্ছিলেন। সংযোগ না দেওয়ায় গত বুধবার বেলা ১১টার দিকে শাহাবুদ্দিনকে দেলোয়ার, মনির ও আক্তার কিল ও ঘুষি মেরে চলে যান। বিষয়টি পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ কাউন্সিলর মকবুলকে জানান। পরে মকবুল শহরের পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকার অবস্থিত পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়ের ডিজিএম মানোয়ার মোর্শেদের কক্ষে যান। খবর পেয়ে মকবুলের তিন ভাইও সেখানে যান। এ সময় সেখানে সাহাবুদ্দিনও উপস্থিত ছিলেন। একপর্যায়ে মকবুল ও মানোয়ারের সামনেই মকবুলের তিন ভাই সাহাবুদ্দিনকে বেধড়ক পেটান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হলে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে কাউন্সিলর মকবুল বলেন, ‘পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ তাঁকে ডেকে নিলেও তাঁর উপস্থিতিতে কোনো মারধরের ঘটনা ঘটেনি। মিটার নেওয়ার জন্য আমার ভাই আবেদন করলে তাঁকে মিটার না দিয়ে তারা (পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ) বারবার ঘুরাচ্ছিল। এর প্রতিবাদ করলে উল্টো তাঁদের সঙ্গে তাঁরা খারাপ ব্যবহার করেন।’
তবে এ ব্যাপারে ডিজিএম মানোয়ার মোর্শেদ বলেন, নিয়মবহির্ভূতভাবে মিটার সংযোগ না দেওয়ায় মকবুলের উপস্থিতিতেই তাঁর তিন ভাই সাহাবুদ্দিনকে মারধর করেন। ওই তিন ভাই মিটার সংযোগসহ প্রায় সময় নানা তদবির নিয়ে আসেন। না শুনলেই কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি ইউনুচ আলী বলেন, এ ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের এজিএম ফারজানা বাদী হয়ে দেলোয়ার, মনির ও আক্তারকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন।