ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফার্মেসিতে মেয়াদোত্তীর্ণ ও ব্যবস্থাপত্র ছাড়া বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ বিক্রির অভিযোগে দুই দোকানমালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে ওষুধের দোকানের মালিকেরা বেলা একটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত শহরের ওষুধের সব দোকান বন্ধ রাখেন।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন হাসপাতাল রোড এলাকার আঁখি ড্রাগ হাউসের মালিক কামাল মিয়া (৫০) ও রেড সি ফার্মেসির মালিক আবুল কাশেম (৬০)।
গতকাল সোমবার বেলা একটার দিকে ওই দুটি ফার্মেসিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালান। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী হাকিম শামছুন নাহার স্বপ্না।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, অভিযান চালানোর সময় ওই দুটি দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও লাইসেন্স ছাড়া বিক্রয় নিষিদ্ধ পেথিডিন ইনজেকশন পান আদালত। এ কারণে ওই দুজনকে থানায় সোপর্দ করা হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করে। আদালতের মাধ্যমে তাঁদের করাগারে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে দুই দোকানমালিককে গ্রেপ্তারের খবর ছড়িয়ে পড়লে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ওষুধের দোকানমালিকেরা তাঁদের দোকান বন্ধ করে দেন। এ কারণে ওষুধের জন্য দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে সাধারণ মানুষকে।
বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি জহিরুল হক বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে প্রতিদিন গড়ে ১০০-১৫০টি অস্ত্রোপচারে পেথেডিন ইনজেকশন লাগে। অথচ জেলা শহরের মাত্র তিনটি দোকানের এই ওষুধ বিক্রির অনুমতি আছে।
জরুরি অবস্থায় এ তিনটি দোকান খুঁজে পেতে রোগীর স্বজনদের হয়রানির শিকার হতে হয়। রোগীদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে তাঁরা এ ওষুধ রাখেন।
তিনি জানান, জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা করে সব দোকান খোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আর জেলা প্রশাসক তাঁদের আশ্বস্ত করেছেন, পেথিডিন বিক্রির জন্য দোকানদের ২০-৩০টি লাইসেন্সের ব্যবস্থা করা হবে।