ভৈরবে হামলার শিকার যুবকের মৃত্যু

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলায় হামলার শিকার সোহাগ মিয়া নামের যুবক মারা গেছেন। স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশের সোর্স সন্দেহে মাদক কারবারীরা সোহাগকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোহাগ (৩৫) মারা যান। এ ঘটনায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁরা হলেন একই এলাকার মো. রানা ও দিপু মিয়া।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, সোহাগ পৌর শহরের পঞ্চবটি এলাকার বাসিন্দা। পঞ্চবটি মাদক ব্যবসার জন্য স্পর্শকাতর এলাকা। ওই এলাকায় অন্তত কয়েকজন নারী-পুরুষ মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। পুলিশের সঙ্গে সোহাগের ভালো সম্পর্ক ছিল। এলাকাবাসী তাঁকে পুলিশের সোর্স হিসেবে জানতেন। সোর্স পরিচয়টি সামনে চলে এলে কিছু মাদক কারবারি তাঁর প্রতি ক্ষুব্ধ হন। কারণ, তাঁদের ধারণা, সোহাগ পুলিশের কাছে তাঁদের অনেক তথ্য সরবরাহ করতেন। এ কারণে তাঁরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে গত সোমবার রাতে নিজ এলাকায় হামলার শিকার হন সোহাগ। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনার পরদিন সোহাগের মেয়ে সুখী বেগম বাদী হয়ে ভৈরব থানায় মামলা করেন। মামলায় আটজনকে আসামি করা হয়। দিপু ও রানা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তাঁদের গতকাল নিজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সোহাগের ভগ্নিপতি আলফাজ মিয়া বলেন, সোহাগ পুলিশের সোর্স ছিলেন না। ভুল ধারণা থেকে মাদক কারবারিরা সোহাগের ওপর হামলা করেন। তাঁকে হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।

তবে পুলিশ হেফাজতে রানা ও দিপু বলেন, তাঁরা হামলার সঙ্গে জড়িত নন। কারা হামলা করেছেন, তা তাঁদের জানা নেই।

ভৈরব থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বাহালুল আলম খান বলেন, হামলার ঘটনায় করা মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সোহাগ পুলিশের সোর্স ছিলেন কি না, প্রশ্নে বাহালুল আলমের মন্তব্য হলো, ‘আমার জানা নেই। আমি সোর্স হিসেবে কাজে লাগাইনি।’