মধ্যপ্রাচ্যে বসে মুঠোফোনে চট্টগ্রামে চাঁদাবাজি

কালাে টাকা
কালাে টাকা

চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী শিবির ক্যাডার নামে পরিচিত সাজ্জাদ আলী খানের তিন সহযোগী মধ্যপ্রাচ্যে বসে চাঁদাবাজি করছেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তারের পর তাঁরা পুলিশকে এই তথ্য দেন।

গ্রেপ্তার পাঁচজন হলেন রুহুল আমিন, তুহিন ওরফে তুফান, আবদুল কাদের, জাবেদ ওরফে ভাগিনা জাবেদ ও রায়হান আহমেদ। তাঁদের কাছ থেকে পাঁচটি এলজি, পাঁচ রাউন্ড গুলি, ছুরি ও চাপাতি উদ্ধার করে পুলিশ। 

আট ছাত্রলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি সাজ্জাদ দুবাইয়ে পালিয়ে যান। সেখান থেকে ভারতে গিয়ে গ্রেপ্তার হন। বর্তমানে ভারতে রয়েছেন তিনি। দুই বছর আগে জামিনে বেরিয়ে তাঁর তিন সহযোগী সন্ত্রাসী মো. সরোয়ার, নুরনবী ম্যাক্সন ও মো. একরাম কাতারে চলে যান। সেখানে বসে মুঠোফোনে চালিয়ে যাচ্ছেন চাঁদাবাজি। নগরের বায়েজিদ বোস্তামী, অক্সিজেন, মুরাদপুর, কুয়াইশ এলাকায় চাঁদাবাজি করছিলেন তাঁরা। সম্প্রতি দুই ব্যবসায়ীর কাছে মুঠোফোনে তাঁরা চাঁদা দাবি করেন। টাকা না পেয়ে একজনের বাসায় আগুন লাগিয়ে দেন। এই ঘটনায় থানায় মামলা করা হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। 

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গাড়ির এক যন্ত্রাংশ ব্যবসায়ীর কাছে গত ৬ সেপ্টেম্বর চাঁদা দাবি করেন সরোয়ার, ম্যাক্সনরা। তাঁদের সহযোগীরা টাকা নিতেন। কিন্তু টাকা না পেয়ে ২৩ সেপ্টম্বর ওই ব্যবসায়ীর বাসায় বোমা ছুড়ে মারেন তাঁরা। 

এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কাতারে থাকা একরাম বায়েজিদ বোস্তামী এলাকার বিভিন্ন ব্যবসায়ীর নাম ও মোবাইল নম্বর দিতেন রুহুল, জাবেদ ও রনিকে। তাঁদের মধ্যে রুহুল আমিন টেলিফোনে গিট্টু মানিক, সাজ্জাদসহ বিভিন্নজনের পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করেন সরোয়ার, ম্যাক্সন ও একরামের সঙ্গে বিদেশে কথা বলতে বলতেন। বিভিন্নজনের কাছ থেকে টাকা নিলেও ভয়ে অনেকে বিষয়টি পুলিশকে জানায়নি। 

পুলিশ জানায়, সাজ্জাদ, সরোয়ার, ম্যক্সন ও একরামা বিদেশে থাকলেও দেশে থাকা তাদের সহযোগীরা ব্যবসায়ীদের মুঠোফোন নম্বর সংগ্রহ করে তাদের পাঠান। এরপর ওই নম্বরে ফোন করে লাখ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। ভয়ে বেশির ভাগ লোক টাকা দিয়ে দেন। ২০ জনের গ্রুপের কাছে জিম্মি ছিল অক্সিজেন, বায়েজীদ ও মুরাদপুর এলাকার বাসিন্দারা।