মাদক ব্যবসায়ীকে ধরিয়ে দেওয়ায় সোর্স খুন, গ্রেপ্তার ৪

গ্রেপ্তার প্রতীকী ছবি।
ছবি: প্রথম আলো

রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে আবুল কাশেম নামের এক ব্যক্তিকে হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার রাতে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে অভিযান চালিয়ে ওই চার ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে শেরে বাংলা নগর থানা-পুলিশ।

গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা হলেন রাতুল, মাসুদ হোসেন, রেজাউল করিম ও রুবেল হোসেন। পুলিশ বলছে, তাঁদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

গত ৬ সেপ্টেম্বর শেরে বাংলা নগরে আবুল কাশেমকে (৪০) ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। তিনি র‍্যাবের সোর্স (তথ্যদাতা) ছিলেন বলে জানিয়ে পুলিশ।

শেরে বাংলা নগর থানা-পুলিশের ভাষ্য, কাশেম সপরিবারে ফার্মগেট-সংলগ্ন রাজাবাজারে থাকতেন। এক মাস আগে কাশেম মাদক ব্যবসায়ী নুরজাহানকে র‍্যাবে ধরিয়ে দেন। নুরজাহানের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া রাতুলের অনৈতিক সম্পর্ক ছিল। নুরজাহানকে র‍্যাবে ধরিয়ে দেওয়ায় রাতুল ক্ষুব্ধ হন। তিনি কাশেমকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

শেরে বাংলা নগর থানার পুলিশ জানায়, পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে রাতুল ও তাঁর তিন সহযোগী দুটি মোটরসাইকেলে করে কাশেমের পিছু নেন। একপর্যায়ে তাঁরা শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের সামনের রাস্তায় কাশেমকে ধরে ফেলেন। তাঁরা কাশেমকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান।

রক্তাক্ত অবস্থায় কাশেমকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক কাশেমকে মৃত ঘোষণা করেন।

কাশেম হত্যার ঘটনায় শেরে বাংলা নগর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়।

পুলিশের তেজগাঁও অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মো. মাহমুদ খান আজ বৃহস্পতিবার প্রথম আলো বলেন, তদন্তের একপর্যায়ে কাশেমকে হত্যায় জড়িত হিসেবে মাসুদ হোসেন নামের একজনকে শনাক্ত করা হয়। তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গত বুধবার পটুয়াখালী থেকে মাসুদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

মাহমুদ খান বলেন, মাসুদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর পূর্বাচল এলাকা থেকে রাতুল, রেজাউল ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি ও দুটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যার ঘটনার পর তাঁরা নারায়ণগঞ্জে পালিয়ে ছিলেন। গতকাল রাতে সেখান থেকে তাঁরা ঢাকায় ফিরছিলেন।