মাদ্রাসাছাত্রীকে অ্যাসিড নিক্ষেপ, দুই কিশোর গ্রেপ্তার

পাবনার চাটমোহর উপজেলায় সবুরা খাতুন (১৪) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অ্যাসিড নিক্ষেপ করে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই ছাত্রীর ডান হাত ও শরীরের বিভিন্ন অংশে ক্ষত সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

সবুরা উপজেলার পার্শ্বডাঙ্গা ইউনিয়নের বনগ্রাম পশ্চিম চকপাড়া গ্রামের সলিলুর রহমানের মেয়ে ও বনগ্রাম বেনিয়াজী দাখিল মাদ্রাসার দশম শ্রেণির ছাত্রী। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়া হয়েছে।

ঘটনার পর আজ শনিবার সকালে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। এরপর একই গ্রামের অভিযুক্ত দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মেয়েটির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গ্রেপ্তার দুই কিশোর গ্রামের মেয়েদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করত। কয়েক দিন ধরে মাদ্রাসায় যাওয়া-আসার পথে সবুরাকে উত্ত্যক্ত করছিল তারা। প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সবুরার ওপর ক্ষিপ্ত হয় তারা। প্রস্তাবে রাজি না হলে অ্যাসিডে ঝলসে দেওয়ার হুমকিও দেয়। গতকাল রাতে ঘরের দরজা খোলা রেখে পড়াশোনা করছিল সবুরা। এ সময় ওই দুই কিশোর হুট করে ঘরে ঢুকে সবুরাকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছোড়ে। এ সময় হাত দিয়ে মুখ ঢেকে ফেললেও তার ডান হাত, পা ও শরীরের কয়েকটি জায়গায় ক্ষত সৃষ্টি হয়। সবুরার চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। এ সময় ওই দুই কিশোর পালানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়। মেয়েটিকে গতকাল রাতেই পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

সবুরার বাবা সলিলুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, উন্নত চিকিৎসার জন্য মেয়েকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এ ঘটনার বিচার দাবি করেন।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসীর উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে দুই কিশোরের বিরুদ্ধে অ্যাসিড নিক্ষেপ অভিযোগের সত্যতা মিলেছে। মেয়েটির বাবা তাদের আসামি করে অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেছেন। মামলায় দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তারা কোথায় অ্যাসিড পেল এবং কেন এ ঘটনা ঘটাল, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।