মিনার চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

মিনার চৌধুরী
মিনার চৌধুরী

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একরামুল হক হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত একমাত্র আসামি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী ওরফে মিনার চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
উচ্চ আদালতের নির্দেশের পরও আত্মসমর্পণ না করায় ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আজ রোববার মিনার চৌধুরীর বিরুদ্ধে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।
উচ্চ আদালত থেকে মিনার চৌধুরীর পাওয়া জামিনের আদেশ গত ২০ জুলাই স্থগিত করেন চেম্বার বিচারপতি। একই সঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে তাঁকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন আদালত।
দুই সপ্তাহ শেষে আজ আদালতে মিনার চৌধুরীর আত্মসমর্পণের কথা ছিল। কিন্তু তিনি আদালতে হাজির হননি।
এই প্রেক্ষাপটে ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আলমগীর মোহাম্মদ ফারুকীর আদালতে আজ উপস্থিত হয়ে মিনার চৌধুরীর আইনজীবী আবদুল মন্নান খান দাবি করেন, তাঁর মক্কেল খুবই অসুস্থ। তিনি ঢাকার বারডেম হাসপাতালে চিকিত্সাধীন।
মিনার চৌধুরীকে ঢাকার সিএমএম আদালতের মাধ্যমে গ্রেপ্তার দেখিয়ে হাসপাতালে চিকিত্সার আবেদন জানান আইনজীবী আবদুল মন্নান খান। উচ্চ আদালতের নির্দেশ পালন না করায় মিনার চৌধুরীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম।
গত ২৭ মে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রাজধানীর কচুক্ষেত এলাকার একটি বাসা থেকে মিনার চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে। গত ১৫ জুলাই হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ তাঁকে ছয় মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেন। ১৭ জুলাই ফেনী জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
মিনার চৌধুরীর জামিনের আদেশ স্থগিত চেয়ে ২০ জুলাই আদালতে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। শুনানি শেষে তাঁর জামিনের আদেশ স্থগিত করেন চেম্বার বিচারপতি। তাঁকে দুই সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেন আদালত।
গত ২০ মে দিনদুপুরে ফেনী শহরের একাডেমি সড়কে একরামুল হককে গাড়ির ভেতরে গুলি করার পর পুড়িয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। নিহতের ভাই রেজাউল হক ওই দিনই ফেনী সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি হিসেবে জাতীয়তাবাদী তাঁতি দলের ফেনী জেলা শাখার আহ্বায়ক মিনার চৌধুরীর নাম উল্লেখ করা হয়। অজ্ঞাত আসামি করা হয় ৩০-৩৫ জনকে।
ওই মামলায় ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ১৬ জন ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁদের জবানবন্দিতে উঠে আসা অনেককেই এখনো গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।